দলীয় কর্মীর খুনের প্রতিবাদে ও দোষীদের ধরার দাবিতে বৃহস্পতিবার বনগাঁর খাটবাওড়ে সিপিএমের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে স্কুল বন্ধ রাখাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় খাটবাওড় এলাকার সিপিএম নেতা আঁখিরঞ্জন মণ্ডলকে বাড়ি ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। অভিযোগ, মিজান মণ্ডল নামে বাংলাদেশি এক দুষ্কৃতী তাঁকে গুলি করে। এই ঘটনায় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা অবনতি এবং দলীয় কর্মীর খুনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বন্ধ ডাতে সিপিএম। বনধে এ দিন বাস না চললেও অটো, মোটরভ্যান চলেছে। পাইকপাড়া, বোয়ালদহ, রামচন্দ্রপুর আঙ্গারপুকুরিয়া ইত্যাদি এলাকায় দোকান পাট আংশিক খোলা ছিল। তবে স্থানীয় একটি স্কুল বনধ থাকায় তা নিয়ে আপত্তি জানায় তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও খাটবাওড় অঞ্চলের পর্যবেক্ষক মনোরঞ্জন বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘‘খাটবাওড় অঞ্চল আদর্শ বিদ্যালয় নামে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজনৈতিক স্বার্থে বনধ সফল করতে স্কুল বন্ধ রেখেছিলেন।” সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দুলাল মণ্ডলের বক্তব্য, “বনধ সফল হয়েছে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জোর করে বাস চালানোর চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি।”
বনধে স্কুল বন্ধ রাখা নিয়ে প্রধান শিক্ষক প্রলয় দত্ত বলেন, “পরিচালন সমিতির সম্পাদক ও সভাপতির লিখিত অনুমতি নিয়ে বুধবারই স্কুল ছুটির কথা ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। তা ছাড়া শিক্ষকদের কাছেও জানতে চেয়েছিলাম বৃহস্পতিবার তাঁরা আসতে চান কি না। ওঁরা আসবেন না জানিয়েছিলেন। তবুও বলা হয়েছিল, কেউ যদি আসেন তা হলে আমাকে ফোন করলে এসে ঘর খুলে দেব। কেউ সই করতে চাইলে করবেন। কিন্তু কেউই আসেননি।” তবে স্কুল সূত্রের খবর, যেখানে ঘটনাটি ঘটে সেই চড়ুইগাছি গ্রামের কাছেই স্কুল। তাই গন্ডগোলের আশঙ্কাতেই স্কুল বনধ রাখা হয়। জেলা স্কুল পরিদর্শক অমর শীল বলেন, “বনধে স্কুল ছুটি দেওয়া যায় না। আমরা এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।” বনগাঁ থানার আইসি চন্দ্রশেখর দাস বলেন, “ওই খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিজানের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” যদিও পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে আঁখিবাবু জানিয়েছেন জমি নিয়ে বিবাদের জেরে তাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সচিন মণ্ডল। সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |