চোলাই বিক্রি বন্ধ করতে পথে নামলেন মহিলারা। বেশ কিছু চোলাইয়ের প্যাকেট রাস্তায় ফেলে নষ্ট করেন তাঁরা। চোলাই কারবারিকেও ব্যবসা বন্ধের হুমকি দিয়েছেন দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার পাড়াইপাড়ার ওই মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, বার বার পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয় না। চোলাইয়ের কারবার চলছে রমরমিয়ে। পুলিশের অবশ্য দাবি, চোলাই বিক্রির অভিযোগে মাঝে মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তারপরেও তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের ওই ব্যবসা শুরু করছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই পাড়ুইপাড়া-সহ আশপাশের এলাকায় চোলাইয়ের কারবার চলছে। প্রতি দিন সকালে বারাসত থেকে বাসে চাপিয়ে বস্তা বস্তা চোলাইয়ের প্যাকেট নামানো হয় বেড়াচাঁপা বাজারে। সেখান থেকে ভ্যান রিকশায় তুলে ওই প্যাকেট পাঠানো হয় বিভিন্ন এলাকায়। মহিলাদের অভিযোগ, চোলাই খেয়ে বাড়ির পুরুষ সদস্যেরা অসুস্থ হচ্ছেন। কেউ কেউ মারাও গিয়েছেন। মদের নেশায় সংসারে আর্থিক অনটন দেখা দিচ্ছে। বাড়ছে অশান্তি। এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যও বেড়েছে। সব মিলিয়ে চোলাই ব্যবসা বন্ধ না করতে পারলে ঘোর সমস্যা। চোলাই বন্ধের জন্য মুখ খুললে নানা ভাবে তাঁদের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন ওই মহিলারা।
এ দিন সকালে মহিলারা তক্কে তক্কে ছিলেন। সাড়ে ৭টা নাগাদ বাস থেকে চোলাইয়ের প্যাকেট-ভর্তি বস্তা নামতেই তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কাস্তে-দা দিয়ে শ’য়ে শ’য়ে চোলাইয়ের প্যাকেট কেটে ফেলে দেওয়া হয় টাকি রোডের উপরে। দুষ্কৃতীরা প্রথমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও মহিলাদের সংগঠিত প্রতিবাদের সামনে পিছু হঠে।
কাজল পাড়ুই, মল্লিকা পাড়ুই, কল্পনা পাড়ুইরা বলেন, “চোলাই বিক্রি যত বাড়ছে, ঘরে-বাইরে অশান্তিও তত বেড়ে চলেছে। চোলাই খেতে বাধা দিলে ঘরের পুরুষ সদস্যেরা মারধরও করেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা শিকেয় উঠছে। পুলিশকে জানিয়েও সুরাহা না হওয়ায় আমরাই পথে নেমেছি।” চোলাইয়ের ব্যবসা রুখতে প্রতি দিন সকালে বাস রাস্তায় পাহারা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। |