তিনটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিনজনের। বুধবার রাতে দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে কুলপির ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে বাগাড়িয়া মোড়ে, ডায়মন্ড হারবারের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কপাটহাট মোড়ে এবং ভাঙড়ের পিয়ারাতলার মোড়ের কাছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কুলপির বাগাড়িয়া মোড়ের দিকে হেঁটে ফিরছিলেন বাগাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আক্রম মোল্লা (১৯) আব্দুল হক মোল্লা (১৮)। সে সময় ডায়মন্ড হারবারগামী একটি গাড়ি তাঁদের দুজনকেই পিষে দেয়। গুরুতর জখম দুই যুবককে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই উত্তর পারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা আনসার আলি শেখ (৩৪) ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় কপাটহাট মোড়ে কলকাতাগামী একটি লরি তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বুধবার রাতে তৃতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে ভাঙড়ের পিয়ারাতলা মোড়ের কাছে। ওই দুর্ঘটনায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। জখম হন আরও ৩ জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সোমনাথ মণ্ডল (৪৪)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কুলটিতে। হাড়োয়ার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমানে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রার্থী সোমা মণ্ডল, তাঁর স্বামী সোমনাথ মণ্ডল, তাঁর মেয়ে এবং তাঁদের এক প্রতিবেশী একটি টাটা সুমো গাড়িতে বিষ্ণুপুরের জুলফিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ খেয়ে ফিরছিলেন। বারুইপুর-ঘটকপুকুর রোড দিয়ে আসার সময় ভাঙড়ের পিয়ারাতলার কাছে একটি বাঁকে নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই সোমনাথবাবুর বাঁ হাত কেটে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি। গুরুতর আহত হন সোমাদেবীও। তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গাড়ি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক। |