আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিন তৃণমূল নেতা লড়ছেন একই আসনে। একজন লড়ছেন দলের প্রতীকে আর অন্য দু’জনের প্রতীক যথাক্রমে টেলিভিশন ও ম্যাটাডোর। আর দলেরই ত্রিমুখী গোঁজ প্রার্থীর এই লড়াইয়ে জমজমাট সাগরদিঘির পঞ্চায়েত ভোট। সাগরদিঘির পঞ্চায়েত সমিতির ১৫ নম্বর আসনে তৃণমূলের তিন নেতা ছাড়াও লড়ছেন কংগ্রেস-সহ ১৪ প্রার্থী। স্বাভাবিকভাবেই ডানপন্থী প্রার্থীদের নিয়ে মারকাটারি লড়াইয়ে সিপিএম যে জয় নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে তা গোপন রাখেননি সিপিএমের স্থানীয় নেতারাও।
দলীয় প্রতীকে তৃণমূলের প্রাথী হয়েছেন সঞ্জয় চক্রবর্তী। তিনি স্থানীয় হাই স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক। নির্দল প্রতীকে দাঁড়িয়েছেন ব্লকের সাধারণ সম্পাদক তৃণমূলের মিহির মণ্ডল ও রাজেশ ভক্ত। মিহিরবাবু বলেন, “দলের সঙ্গে আমি প্রথম থেকেই যুক্ত। অথচ দল আমাকে বাদ দিয়ে দলের সঙ্গে সম্পর্কহীন একজনকে মনোনয়ন দিল। এর প্রতিবাদেই পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হয়েছি।” ক্ষোভ ঝরে পড়ে রাজেশের গলাতেও। তিনি বলেন, “নিচুতলার কর্মীদের উপেক্ষার ফল পেতেই হবে তৃণমূলকে।” সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মহম্মদ রেজাউল্লা বলেন, “সঞ্জয়বাবুর সঙ্গে দলের নিচুতলার কর্মীদের কোনও যোগাযোগ নেই। কেন যে ওঁকে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন দেওয়া হল বুঝতে পারছি না।” তৃণমূল প্রার্থী সঞ্জয় চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “লড়াই করতে ভোটে দাঁড়িয়েছি। যা বলার ভোটের ফল বেরোলেই বলব।” বিরোধী দল সিপিএম অবশ্য তৃণমূলের এই ত্রিমুখী লড়াইতে অনেকটাই স্বস্তিতে। সিপিএমের সাগরদিঘির জোনাল কমিটির সম্পাদক পরেশ দাস বলেন, “মানুষ দেখছে তৃণমূলের কোন্দল। এই সব দেখে মানুষ তাঁদের রায় জানাবেন ভোটেই।” |