বাম নেতৃত্বের এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে কোনও তারকা নেতা নিয়ে আসেননি। কংগ্রেসের রাজ্য স্তরের নেতারা প্রচার করছেন। তাঁদের মূল ভরসা জেলা সভাপতি অধীর চৌধুরীই। তবে তৃণমূলের হয়ে কিন্তু কংগ্রেসের ঘাঁটি এই রাজ্যে পঞ্চায়েতের প্রচারে আসছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ জুলাই মমতার সভার দিন স্থির হয়েছে। কিন্তু কোথায় সভা হবে, তা এখনও স্থির হয়নি।
কতগুলি সভা হবে, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়। জেলায় তৃণমূলের একমাত্র বিধায়ক ও রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা এ কথা জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটে দলের জেলা নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানও সুব্রতবাবু। তিনি বলেন, “১৮ জুলাই তৃণমূল নেত্রী এই জেলায় প্রচারে আসবেন।” তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় যদি একটি সভা করেন মমতা, তা হলে সেটা হবে বহরমপুরেই। যদি দু’টি হয় তবে একটি বহরমপুরে হবে, অন্যটি হতে পারে সুব্রতবাবুর বিধানসভা এলাকা সাগরদিঘিতে। তবে মমতা একা নন। ভোটের প্রচারে আসবেন সুব্রত বক্সি। আসবেন দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ও। তারপরে শুভেন্দু অধিকারী, সুলতান আহমেদেরও আসার কথা। সুব্রতবাবু বলেন, “ইতিমধ্যে ব্লকে, বুথে সর্বত্রই কর্মীরা ছোট ছোট সভা করছেন। পদযাত্রা, বৈঠকও হচ্ছে।”
কংগ্রেসের অবশ্য বক্তব্য, অধীরের প্রভাবই এই জেলায় সব থেকে বেশি, তিনিই প্রচারে নেমেছেন, তাই তাঁরা স্বস্তিতেই রয়েছেন। ইতিমধ্যেই অধীর জেলার ২৬টি ব্লকেই ছোট বৈঠক করেছেন। জেলায় কংগ্রেস ৪৩৪৮টি বুথ কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “গত পঞ্চায়েতে জেলায় ২৫৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৪৫টি কংগ্রেসের, ২৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৪টি কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। জেলা পরিষদ কেবল একটি আসনের জন্য হাতছাড়া হয়। ৬৩টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ৩১টি জিতেছে। বামেদের হাতে যায় ৩২টি আসন।” তাঁর দাবি, “এ বারেও কংগ্রেস আরও সাফল্য পাবে।”মূলত বাড়ি বাড়ি প্রতারেই ভরসা করছেন বাম নেতৃত্ব। ছোট সভা ও বৈঠক করছেন তাঁরা। সেই সব বৈঠকে থাকছেন জেলার প্রথম সারির নেতারা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “কাউকে বাইরে থেকে আনতে হবে না। জেলায় প্রায় সাড়ে চার হাজার বুথ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই প্রচার করছে। ছোট ছোট বৈঠক কের মানুষের কাছে পৌঁছনোই আমাদের লক্ষ্য।” |