|
|
|
|
যুবক খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্ত্রী, শাশুড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
মাঠের মধ্যে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের পরে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার বিকেলে নন্দীগ্রাম থানার ঘোলপুকুরিয়া এলাকার বরাচিরা গ্রামে মাঠের মধ্যে পড়েছিল গুরুপদ প্রধানের ( ২৫) দেহ। মৃতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতদেহের পাশে পড়েছিল বিষের শিশি ও মোবাইল। মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এ দিকে, গুরুপদর বাড়ির লোকেরা তাঁর স্ত্রী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই স্ত্রী সুজাতা প্রধান ও শাশুড়ি সরস্বতী প্রধানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিরা পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুপদর বাড়ি চণ্ডীপুর থানার আবাসবাড়ি গ্রামে। তিনি দিনমজুর ছিলেন। বছর দেড়েক আগে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের আমদাবাদ গ্রামের তরুণী সুজাতা প্রধানের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি চলছিল। কয়েকদিন আগে সুজাতার বাবা চণ্ডীপুরে এসে জামাই গুরুপদ ও মেয়েকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সুজাতার বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, মঙ্গলবার বিকেলে গুরুপদ বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
বুধবার দুপুরে আমদাবাদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে বরাচিরা হাইস্কুলের পিছনের মাঠে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন গ্রামবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের পাশে পড়ে থাকা মোবাইল ফোন থেকে গুরুপদর শ্বশুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেও তিনি যেখানে আছেন বলে জানান, সেখানে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এরপর গুরুপদর বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। বাড়ির লোকেরা মৃতদেহ শনাক্ত করার পরে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন গুরুপদর স্ত্রী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে। |
|
|
|
|
|