|
|
|
|
ঝাড়গ্রাম আদালত |
বিচারক চেয়ে কর্মবিরতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বিচারকের দাবিতে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালীন কর্মবিরতি শুরু করেছেন ঝাড়গ্রাম আদালতের আইনজীবী ও মুহুরিরা।
আদালতের দু’টি বার অ্যাসোসিয়েশন এবং ল’ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশন একযোগে কর্মবিরতি চলিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আন্দোলনের ফলে গত দু’দিন ধরে আদালতের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। দৈনন্দিন পুলিশ ফাইলেও আইনজীবী ও মুহুরিরা যোগ দিচ্ছেন না। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র প্রবীণ আইনজীবী শিশিরকুমার ঘোষ বলেন, “ঝাড়গ্রাম আদালতে মামলার সংখ্যা কয়েক হাজার। মহকুমার ৯টি থানা এলাকার বিভিন্ন ধরনের মামলা এই আদালতে বিচারের জন্য আসে। অথচ ঝাড়গ্রাম আদালতে বিচারক রয়েছেন মাত্র ৫ জন। উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও এখানে বিচারক ও এজলাসের সংখ্যা বাড়েনি।” শিশিরবাবুদের বক্তব্য, রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে সম্প্রতি নতুন ৩৪ জন বিচারকের অধীনে ৩৪টি এজলাস চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় ঝাড়গ্রাম আদালতের নাম নেই। বর্তমানে ঝাড়গ্রাম আদালতে রয়েছেন একজন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক, একজন এসিজেএম (অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট), একজন জেএম (বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট) এবং দু’জন দেওয়ানি বিচারক। আইনজীবী ও মুহুরিদের মতে, ২০০৮ সাল থেকে যে হারে মামলার চাপ বাড়ছে, তাতে আরও একজন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক এবং একজন জেএম (বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট) প্রয়োজন। কারণ, বিচারের জন্য অনেক মামলা পড়ে রয়েছে। এক একটি মামলার শুনানির দিনের ব্যবধান বাড়ছে। বিচারপ্রার্থীরা সমস্যায় পড়ছেন।
বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা জজ সমর রায় এবং মেদিনীপুরের সিজেএম কল্লোল দাস ঝাড়গ্রাম আদালতে এসে আন্দোলনকারী আইনজীবী ও মুহুরিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সমরবাবু আন্দোলনকারীদের জানান, এক মাসের মধ্যে ঝাড়গ্রাম আদালতে আর একজন জেএম দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। আইনজীবী-মুহুরিদের দাবিগুলির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেন সমরবাবু। জেলা জজের আশ্বাসের পরও অবশ্য এ দিন কর্মবিরতি ওঠেনি। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র আইনজীবী শিশিরকুমার ঘোষ বলেন, “শনিবার আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব।” |
|
|
|
|
|