|
|
|
|
মহিষাদলে রথের মেলার প্রস্তুতি থমকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পঞ্চায়েত সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এ বার মহিষাদলের রথের মেলা পরিচালনা নিয়ে নানা ঝামেলা চলছেই। ২৩৭ বছরের পুরনো মহিষাদলের রথযাত্রা উৎসব ও মেলা ঘিরে উন্মাদনার অন্ত নেই হলদিয়া মহকুমায়। তবে এ বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট কিছুটা এলোমেলো করে দিয়েছে। ভোটের জন্য প্রথমে ছোলাবাড়ি প্রাঙ্গণে মেলা বসবে না বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে স্থানীয়দের আবেগ ধরে রাখতে ময়দানের একাংশে মেলা বসবে বলে ঠিক হয়। তবে ১৩, ১৪ ও ১৫ জুলাই মেলার দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিকে, প্রতি বছর মেলা পরিচালনার দায়িত্ব স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি বহন করলেও এ বার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আর দায়িত্বে নেই। ফলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গোলমাল বাধছে। ছোলাবাড়ির কিছুটা অংশ ছাড়া অন্যত্র দোকান দিতে গেলে রাজ পরিবারকে টাকা দিতে হত। পঞ্চায়েত সমিতিই সেই টাকা তুলত। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অবশ্য কী করণীয় ঠিক হয়নি। ইতিমধ্যে স্টল বসানোর জন্য দোকানদারদের কাছে রাজপরিবারের ‘প্রতিনিধি’ হয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে গত বছর মেলা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকা তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা শেখ রহমানের (হাবু) বিরুদ্ধে। তাই নিয়ে বিভ্রান্ত দোকানদারেরা। সেকেন্দর আলি, চৈতন্য সামন্তদের অভিযোগ, “রাজ পরিবার গত বছর যে টাকা ধার্য করেছিল তা সামান্য। এ বছর শেখ রহমান চাপ দিয়ে অন্যায্য ভাবে দু’শো টাকা প্রতি ফুটে চাইছেন। ওঁকে কেন টাকা দেব? ওঁ তো রাজ পরিবারের কেউ নয়।”
রাজ পরিবারের উত্তরসূরি হরপ্রসাদ গর্গ বলেন, “শেখ রহমান আমাদের প্রতিনিধি নন। পঞ্চায়েত সমিতির হয়ে টাকা নিচ্ছেন হয়তো।” পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “ শেখ রহমান রাজ পরিবারের প্রতিনিধি হয়েই টাকা তুলছেন। রাজ পরিবার ওঁকে না বলে দিলে টাকা তুলবে না।”
সিপিএমের লোকেরা আবার এই নিয়ে বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার অভিযোগের তদন্তে যান স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক প্রদ্যুতকুমার পালই। তিনি বলেন, “ রাজপরিবারের লোকেদের কথায় অসামঞ্জস্য রয়েছে। রাজপরিবারের সদস্যরা কলকাতা থেকে আসুক। আপাতত মেলার দোকান বসবে না।” |
|
|
|
|
|