|
|
|
|
দলবিরোধী তকমা এড়াতে লিফলেট বিলি সুফিয়ানের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রামে বাম প্রার্থীরা অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিতে না পারলেও নিষ্কণ্টক নয় তৃণমূল। নির্দল প্রার্থীরা রয়েছেন ময়দানে। এরই মধ্যে সামসাবাদ, নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত-সহ একাধিক এলাকায় নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে জেলা পরিষদের বিদায়ী পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠছিল। সেই অভিযোগ খণ্ডন করতে লিফলেট বিলি করছেন সুফিয়ান। প্রায় ১০ হাজার লিফলেট ছাপানো হয়েছে। সুফিয়ানের বক্তব্য, “কিছু নির্দল ও কংগ্রেস প্রার্থী আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা বলে ভোট চাইছেন। দলের স্বার্থে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে ব্লক নেতৃত্বের নির্দেশেই এই লিফলেট বিলি করা হচ্ছে।”
লিফলেটে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের সামসাবাদ, নন্দীগ্রাম-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে আমার কিছু ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি নির্দল ও কংগ্রেসের প্রতীক নিয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছে। তারা আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা প্রচার করে ভোট চাইছে। কিন্তু আমি তাদের সমর্থন করি না। তারা আমার পরম আত্মীয় হলেও ভোট দেবেন না।’ এই বয়ানের মাধ্যমে সুফিয়ান বকলমে নির্দল ও কংগ্রেস প্রার্থীদের সম্পর্কে তাঁর সম্পর্কের কথা মেনে নিয়েছেন বলে বক্তব্য বিরোধী গোষ্ঠীর। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সুফিয়ানের অবশ্য দাবি, “নন্দীগ্রামের বেশিরভাগ মানুষই আমার ঘনিষ্ঠ। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ অন্য দলের প্রার্থী হয়ে আমার ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে আমারই দলের বিরুদ্ধে প্রচার করে ভোট চাইছে। সাধারণ মানুষের কাছে আমার নামে ভুল বার্তা যাতে না যায় সেজন্য এই লিফলেট প্রকাশ করেছি।” |
বিস্তারিত... |
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার পঞ্চায়েত ভোটে সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চননগর বুথে তৃণমূলের প্রার্থী সাকির হোসেনের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন শেখ ফুকুরুদ্দিন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেই উত্তর আমগেছিয়া বুথে তৃণমূল প্রার্থী সানোয়ার আলির বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন শেখ রাকেশ। ফুকুরুদ্দিন ও রাকেশ দু’জনেই সুফিয়ানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। আর নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী জেলা পরিষদ সদস্য পীযূষ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন খোদ সুফিয়ানের জামাই শেখ ইসমাইল। সুফিয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করলেও সেই কথা প্রচার করে ভোট চাওয়ার কথা মানতে চাননি শেখ ফুকুরুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলের সমর্থক ছিলাম। এখনও দল হিসেবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। সুফিয়ানের সঙ্গে আমার দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক থাকলেও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। আমি জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবেই লড়াই করছি। কারও সঙ্গে পরিচয় ভাঙিয়ে ভোট চাওয়ার প্রয়োজন নেই।” |
|
|
|
|
|