|
|
|
|
ভোটকর্মীদের ভোটদানের দিন বাড়ল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ভোট দেওয়ার জন্য আরও একটি দিন পেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ভোটকর্মীরা। আগামী ১১ জুলাই যে তিন জেলায় ভোট, সেখানকার ভোটকর্মীরা আগামী রবিবার ভোট দিতে পারবেন। এর আগে ২৫ থেকে ২৮ জুন ভোটকর্মীদের ভোটদানের ব্যবস্থা ছিল। ওই পর্বে অনেকেই ভোট দিয়েছেন। আগামী রবিবার ভোটকর্মীদের ভোটদান পর্ব নির্বিঘ্ন করতে ইতিমধ্যেই রিটার্নিং অফিসার তথা বিডিওদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত। বৃহস্পতিবারই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,অনেকেই অসুস্থতার কারনে ভোটকর্মী হিসাবে কাজ করতে পারছেন না। ফলে তাঁদের নাম কাটা গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, প্রায় ৪০ জন ভোটকর্মী রয়েছেন যাঁদের নাম তালিকায় ঢুকেছে ভোটকর্মীদের ভোট গ্রহনের পর। তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা।
জেলায় ভোটকর্মী সব মিলিয়ে ২৬ হাজার ১০৯ জন। এর মধ্যে ২৩ হাজার ৭৩৫ জন বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত। আর বাকি ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ভোটকর্মী। এর সংখ্যা ২ হাজার ৩৭৪ জন। ২৫-২৮ জুন ভোটকর্মীদের ভোট চলাকালীন গ্রাম পঞ্চায়েতে ১১৭২২, পঞ্চায়েত সমিতিতে ১২৪৮০ ও জেলা পরিষদে ১৩৯৭৭টি ভোট পড়েছে। প্রথম দফায় যাঁরা ভোট দিতে পারেননি, তাঁরাও রবিবার ভোট দিতে পারবেন।
এ দিকে, ভোটকর্মীর সংখ্যার তুলনায় ভোটদানের হার কম কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক ভোটকর্মীই পুরসভা এলাকার ভোটার। অনেকে আবার অন্য জেলার মানুষ, কর্মসূত্রে পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছেন। ফলে, তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত ভোট দেবেন না।
ভোটকর্মীদের দ্বিতীয়বার ভোট হওয়ায় ক্ষোভও দেখা দিয়েছে। এমনিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা চলেছে। তাতে জেরবার হতে হয়েছে রিটার্নিং অফিসার-সহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। এই পরিস্থিতিতে একই শুধু ভোটকর্মীদের ভোটের জন্য ফের যাবতীয় ব্যবস্থা করতে অনেকেই বিরক্ত হচ্ছেন। প্রথম দফার ভোট শেষে তা ‘সিল’ করে রেখে দেওয়া হয়েছিল। ফের একই পরিশ্রম করতে হবে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সকলকে। |
|
|
|
|
|