মানুষের রায়কে ভয় পান, তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট এড়াতে চাইছিলেন বলে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
বৃহস্পতিবার আমতা ফুটবল মাঠে নির্বাচনী সভায় সূর্যবাবু ছাড়াও ছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী নরেন দে, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দীপক দাশগুপ্ত। সেখানেই শাসক দলের সমালোচনা করে বিরোধী দলনেতা বলেন, “এই সরকারের জন্যই ভোট এত পিছিয়ে গেল। উনি (মমতা) কাউকে বিশ্বাস করেন না। গণতন্ত্র মানেন না। মানুষের রায়কে ভয় পান। তাই ভোট করতে চান না। সরকারে আসার পর থেকে যতবার কোর্টে গেছে, ততবারই হেরেছেন। শেষবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও হারলেন। এ বার তার চেয়েও বড় আদালতে যাচ্ছেন। সেটা জনতার আদালত। তাতেও তিনি হারবেন।” |
আমতায় সিপিএমের সভায় ত্রাণ সংগ্রহ। ছবি: সুব্রত জানা। |
বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের বাসস্ট্যান্ডে নির্বাচনী জনসভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায় আবার বলেন, “ঘোর বর্ষা ও রমজান মাসে পঞ্চায়েত ভোট চাননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চেয়েছিলেন আগামী বছর ফেব্রুয়ারির শীতে ভোট হোক। তাতে সকলেরই সুবিধা হতো। নির্বাচন কমিশন বড়। অনেক বড় ব্যাপার।” কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে এ দিন আমতার সভায় বিরোধী দলনেতা বলেন, “তৃণমূলের থেকে তৃণমূলকে রক্ষা করার জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করা দরকার।” এই প্রসঙ্গে বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্তের খুনের ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তপনবাবু খুন হওয়ার পরে তাঁর স্ত্রী দলের কাছে বিচার চান। কিন্তু বিচার না পেয়ে তিনি আমাদের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি দলের কাছে সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন। কিন্তু সিবিআই তদন্ত হয়নি। কারণ এফআইআর-এ জেলার এক মন্ত্রীর নাম আছে।” এ দিন সভায় হাজির ছিলেন হাজার পাঁচেক মানুষ। সেখানে উত্তরাখণ্ডের ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে চাঁদা তোলা হয়। সেই টাকা জমা দেওয়া হয় সূর্যকান্তবাবুর কাছে। |