গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। বৃহস্পতিবার, বালির বাদামতলায়। মৃতের নাম হাকিম সিংহ (৮২)। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, বালি বাদামতলার জিটি রোডের বাসিন্দা হাকিমবাবু এ দিন বিকেল তিনটে নাগাদ বাড়ির কাছেই গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে যান। দীর্ঘক্ষণ পরেও তিনি না ফেরায় তাঁর বড় ছেলে জয়প্রকাশ সিংহকে সওয়া চারটে নাগাদ গঙ্গার ঘাটে যান। পুলিশ জানায়, জয়প্রকাশ ও তাঁর সঙ্গীরা দেখেন, সিঁড়িতে পড়ে আছেন ওই বৃদ্ধ। তাঁর মাথার পিছনে ক্ষতচিহ্ন। পরে হাসপাতালে ওই বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জয়প্রকাশ জানান, কয়েক দিন ধরেই ভাড়াটেদের সঙ্গে তাঁদের ঝামেলা চলছে। ভাড়াটেরা তাঁর বাবাকে মারার হুমকি দিয়েছিল। সেই মতো অজয় শর্মা ও অশোক শর্মা নামে দুই ভাড়াটের বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরি করেছিলেন জয়প্রকাশেরা। এ দিন তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে বাবাকে ওঁরাই মেরেছে।” তবে সে বিষয়ে এ দিন কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি জয়প্রকাশ। তবে পুলিশের অনুমান, কোনও ভাবে গঙ্গার ঘাটের সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) রশিদমুনির খান বলেন, “ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়। তবে সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
প্রচার সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের চপারের কোপে খুন হলেন এক সিপিএম কর্মী। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় পাণ্ডুয়া থানার মথুপুরের পঞ্চাননতলায় খুনের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম মহম্মদ একলাখ (৪২)। পান্ডুয়ার ক্ষীরকুণ্ডিতে তাঁর বাড়ি। দলের কিছু কর্মীর সঙ্গে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। দুষ্কৃতীরা আচমকা হামলা চালালে সঙ্গীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। সেই সুযোগে তাঁকে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে মোটরবাইকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। একলাখকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।
|
একটি শিশুকে উদ্ধার করল বালি থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে, বেলুড় পালঘাট লেন থেকে। পুলিশ জানায়, রাস্তায় ইতস্তত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিল শিশুটি। নাম ছাড়া সে কিছুই বলতে পারছিল না। বেশি কিছু জিজ্ঞাসা করলেই কেঁদে ফেলছিল। স্থানীয় লোকেরা শিশুটিকে আটকে রেখে বালি থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে জানতে পারে ওই শিশুর নাম মনোজ শামিম। পুলিশ জানায়, আনুমানিক চার বছর বয়সের ওই শিশুটিকে ‘চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি’র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
|
প্রখ্যাত তবলাবাদক পণ্ডিত শ্যামল বোস স্মরণে রবিবার চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে এক সঙ্গীত সন্ধ্যা অনুষ্টিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চন্দনগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে তবলা লহরা পরিবেশন করেন শ্যামল বোসের পুত্র পণ্ডিত সৌরভ বোস এবং কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন রত্না বোস। তা ছাড়া, পণ্ডিত সৌমিত্র লাহিড়ির সেতারের সুরের সঙ্গে শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের তবলা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন সুমিত দাস। ভিড়ে ঠাসা হলের শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে যান এই বর্ণময় অনুষ্ঠানে। |