চিনা সেনাকর্তার হুমকির মধ্যেই অ্যান্টনি বেজিংয়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কূটনৈতিক সৌজন্যের তোয়াক্কা না করে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই ভারতের উদ্দেশে আজ তোপ দাগলেন চিনের এক সেনাকর্তা লিউ ইয়ান। জানালেন, সীমান্তে সেনা বাড়িয়ে যেন ‘বিপদ’ না ডেকে আনে ভারত। দীর্ঘ সাত বছর পর কোনও ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী যখন বেজিং রওনা হয়েছেন, সেই সময়েই সেনাকর্তার এই হুঁশিয়ারি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঘটনার আকস্মিকতায় বিস্মিত বিদেশ মন্ত্রক। এই বিবৃতির পরই চিনের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সরকারি সূত্রে খবর, কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে বেজিং এই বিবৃতি থেকে দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে। সরকারি ভাবে চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সফরের জন্য বেজিং অপেক্ষা করছে। তাদের সেনাকর্তা যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা সরকারি মনোভাব নয়।
তবে ওই বিবৃতিতে সফরের শুরুটা যে বেশ তিক্ত হয়ে গেল, এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিকরা। এমনতিই ঘোষিত কট্টরপন্থী এই চিনা সেনাকর্তা। কিছুটা অযাচিত ভাবেই তিনি আজ বলেছেন, “সীমান্তে সেনা বাড়িয়ে নতুন করে বিপদ ডেকে আনাটা উচিত হবে না ভারতের।” এখানেই না থেমে তিনি বলেছেন, “ভারতই হল বিশ্বের একমাত্র দেশ, যারা চিনের সামরিক শক্তির সঙ্গে পাল্লা দিতে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার বাড়ানোর কথা বলে। সুতরাং আমার মনে হয়, ভারত কী বলছে এবং কী করছে, সে ব্যাপারে তাদের যথেষ্ট সতর্ক থাকা প্রয়োজন।”
মে মাসে লাদাখের দৌলত বেগ সেক্টরকে কেন্দ্র করে দু’দেশের সীমান্ত উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সূত্রের খবর, ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে একটি নতুন ব্যবস্থা প্রণয়নের প্রস্তাব লিখিত ভাবে ছ’মাস আগেই নয়াদিল্লির হাতে তুলে দিয়েছিলেন চিনের নতুন নেতৃত্ব। নয়াদিল্লি কিন্তু তা নিয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখায়নি। ইতিমধ্যে চিনা সীমান্ত থেকে ভারতের দিকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার ভিতরে এসে ঘাঁটি গেড়েছিল সেনা। টানা ২০ দিন ওই মারাত্মক ঠান্ডার মধ্যে তারা বসে ছিল। বিষয়টি নিয়ে তার পর দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ে আলোচনাও হয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফরে স্বাভাবিক ভাবেই সীমান্ত নিয়ে আলোচনা হবে। চিনা সেনাকর্তার আজকের বিবৃতি থেকে দূরত্ব তৈরি করলেও, অ্যান্টনির চার দিনের সফরে বেজিং কী অবস্থান নেয়, সেটাই এখন দেখার। |