বিসিসিএলের একটি পরিত্যক্ত কয়লা খনি থেকে দুই ভাই-সহ তিন জনের দেহ উদ্ধার করেছে কুলটি পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন ফারমান খান (৪৫), আসলাম খান (৪২) ও মহম্মদ সাকিল (৪২)। ফারমান ও আসলাম দুই ভাই। প্রত্যেকেই কুলটির কেন্দুয়া বাজার এলাকার মজিদিয়া পার্ক লাগোয়া রোহিমপুরার বাসিন্দা। আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কুলটির পড়িরা গ্রামের বাসিন্দারা থানায় খবর দেন বিসিসিএলের চাপতোড়িয়া-দামাগোড়িয়া খনি প্রজেক্টের একটি পরিত্যক্ত খাদানে দেহগুলি পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে স্থানীয় কয়েক জনকে নিয়ে দেহগুলি তোলার ব্যবস্থা করে পুলিশ। তাদের পরিবারের দাবি, ওই খাদান সংলগ্ন এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন ওঁরা। কিন্তু দুপুর পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তাঁদের খোঁজ শুরু হয়। পরে তাঁরা জানতে পারেন, ওই পরিত্যক্ত খাদানে তাঁরা পড়ে গিয়েছেন। পরিবারের ধারণা, খাদানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সেখান থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও তাই অনুমান। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অনুমান, খাদান সংলগ্ন এলাকায় আলগা মাটি ধসে পড়াতেই এই মৃত্যু। পুলিশ জানায়, এ নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
বিসিসিএল কর্তৃপক্ষ জানান, পরিত্যক্ত খাদানটির চারপাশ কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। ওই অংশটি যে পরিত্যক্ত ও বিপজ্জনক, তা জানিয়ে বোর্ডও টাঙানো হয়েছে। খাদান পাহারা দেওয়ার জন্য সিআইএসএফ-ও মোতায়েন করা রয়েছে। সেখানে বহিরাগত কারওরই ঢোকার কথা নয়। পড়িরা গ্রামের বাসিন্দাদেরও দাবি, সাধারণত ওই পরিত্যক্ত খাদান এলাকায় কেউ বেড়াতে যান না। তবে প্রতিদিনই ওই খাদানে বেশ কিছু লোক অবৈধ ভাবে কয়লা কাটতে নামে। ফলে মাঝে মাঝেই মাটির উপরের অংশ আলগা হয়ে ধসে পড়ে। বিসিসিএল কর্তৃপক্ষও এ কথা জানেন বলে জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, সিআইএসএফের নজরে আসতেই বহিরাগতদের বের করে দেওয়া হয়। এঁরাও সে দিন সে কারণেই ওই পরিত্যক্ত খনিতে গিয়েছিলেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ বোঝা যাবে। |