টুকরো খবর
দেবযানীকে পীড়নের অভিযোগ কমিশনে
সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত, ওই সংস্থার ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে বালুরঘাট থেকে টানা প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার সড়কপথে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল পুলিশ। এক বারও তাঁকে গাড়ি থেকে নামতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। নানা ভাবে দেবযানীর উপরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে বুধবার তাঁর পরিবারের তরফে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়।দেবযানীর পরিবারের আরও অভিযোগ, আইনজীবীদের সামনে না-রেখে দেবযানীকে জেরা করা হয়েছে। এমনকী কখনও কখনও জেরা চালানো হয়েছে সারা রাতও। মানসিক ও শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন দেবযানী। অসুস্থ অবস্থাতেও তাঁকে আদালতে তোলা হচ্ছে। এই অবস্থায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ করেছে ওই অভিযুক্তের পরিবার।সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন, দেবযানী-সহ মূল চার অভিযুক্তকে এ দিন ফের আদালতে তোলা হয়। শুনানি হয় মোট আটটি মামলার। সব মামলাতেই জামিনের আবেদন করেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য, অভিযোগ প্রমাণ না-করে তদন্তের নামে তাঁদের মক্কেলদের স্রেফ আটকে রাখার কৌশল নিচ্ছে সরকার পক্ষ। সরকারি আইনজীবী পাল্টা বলেন, এটা একটা বিশাল কেলেঙ্কারি। আরও তদন্তের প্রয়োজন। তাই জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। সব অভিযুক্তকেই ফের ১৪ দিন জেল-হাজত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুরনো খবর:
মাঠপুকুর মামলা সরলো
মাঠপুকুর কাণ্ডের মামলাটি বিচারের জন্য বুধবার নিম্ন আদালত থেকে আলিপুর জেলা ও দায়রা জজের আদালতে পাঠানো হল। কারণ এই মামলায় খুন, খুনের চেষ্টা-সহ গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। শম্ভুনাথ কাও-সহ ৬ অভিযুক্ত এবং জামিনে মুক্ত দেবাশিস সরকারকে ১৭ জুলাই জেলা ও দায়রা জজের আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট উমেশ সিংহ। এ দিন শম্ভুনাথ কাও-সহ ৬ অভিযুক্ত এবং দেবাশিস সরকারকে অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করানো হয়। অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী মৌসুমী দাস আদালতে জানান, তাঁরা এই মামলায় সিআইডির দেওয়া ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। শুনানি না হওয়া পর্যন্ত দায়রা জজের আদালতে পাঠানোর কাজ স্থগিত রাখার আবেদন করলে বিচারক তা খারিজ করেন। এই মামলার তিন অভিযুক্ত এখনও ফেরার। যদিও সিআইডি চার্জশিট দিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি ক্রোক ও গ্রেফতারি পরোয়ানাও আছে। এই অবস্থায় সরকারি আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য আদালতকে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা মুলতুবি রাখার আর্জি জানালে আদালত তা মঞ্জুর করে।

পুরনো খবর:
ছাত্র সংঘর্ষ ঘিরে চাঞ্চল্য
ছাত্র-সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হল আশুতোষ কলেজ।
দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষে বুধবার উত্তেজনা ছড়াল আশুতোষ কলেজ ও আশপাশের এলাকায়। এসএফআই এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) দু’পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ জানিয়েছে ভবানীপুর থানায়। পুলিশ জানায়, কলেজের অধ্যক্ষ দীপক করের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়াকে ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত। প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে কলেজের বাইরে দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, টিএমসিপি-র এক জন ও এসএফআই-এর তিন জন জখম হন। এসএফআই-এর রাজ্য কমিটির সদস্য পহেলি সাহার অভিযোগ, ফি বৃদ্ধি-সহ কিছু বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে ইউনিট সভাপতি তীর্থ সাহার নেতৃত্বে এ দিন একদল ছাত্র অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিতে যান। অভিযোগ, তা জমা দিয়ে বেরিয়ে এলে টিএমসিপি-র একটি দল তাঁদের সমর্থক ছাত্রদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অধিকাংশই বহিরাগত বলে দাবি পহেলির। এমনকী, এক দল ছেলে মেয়েদের ধাক্কা দেয় বলেও অভিযোগ। যদিও টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা এসএফআই-এর সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “এসএফআই-এর ছেলেরা বহিরাগতদের এনে স্মারকলিপি দেওয়ার নাম করে অধ্যক্ষকে হেনস্থা ও ঘেরাও করে। আমাদের ছেলেরা অধ্যক্ষের অপমান সহ্য করেনি। তাই তাদের সরাতে গিয়ে ঝামেলা হয়েছে।”

এক মাস পিছিয়ে গেল তৃণমূলের শহিদ দিবস
পঞ্চায়েত ভোটের জেরে ২১ জুলাই দলের ‘শহিদ দিবসে’র সমাবেশ এক মাস পিছিয়ে দিল তৃণমূল। ধর্মতলার চিরাচরিত জায়গাতেই ওই সমাবেশ ২১ অগস্ট হবে বলে বুধবার ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ১৪ জুলাই থেকে ২১ জুলাই রাজ্যের ব্লকে ব্লকে ‘শহিদ স্মরণ’ করবে তৃণমূল। পঞ্চায়েতের ভোটপর্ব ২৯ জুলাই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তারও বেশ কিছু দিন পরে শহিদ দিবস পালনের প্রশ্নে সুদীপবাবুর বক্তব্য, “আমরা প্রথমে স্থির করেছিলাম, ৯ অগস্ট সমাবেশ করব। কিন্তু রমজানের পরে ৯ অথবা ১০ অগস্ট ঈদ পালিত হতে পারে। সেই অনিশ্চয়তা থেকেই ২১ অগস্ট সমাবেশ হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।” পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের জয় সম্পর্কে নিশ্চিত মুকুল রায় এ দিন বলেন, “পঞ্চায়েতের জয়টা আমরা শহিদদের উৎসর্গ করতে চাই।” প্রসঙ্গত, ২০১১-র বিধানসভা ভোটে জেতার পরে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে হয়েছিল। সুদীপবাবু জানান, ২১ অগস্টের সমাবেশও ব্রিগেডে করার প্রস্তাব উঠেছিল। কিন্তু সেই সময়ে বৃষ্টিতে ময়দানে সভা করার অসুবিধার কথা চিন্তা করে সেই ধর্মতলাকেই তাঁরা বেছে নিয়েছেন। মমতার নেতৃত্বে ১৯৯৩ সালে ‘মহাকরণ অভিযানে’ পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন ১৩ জন। সে বারই ধর্মতলায় মমতার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন যুব কংগ্রেস ২১ অগস্ট ‘শহিদ দিবস’ পালন করেছিল বলে মুকুলবাবু জানিয়েছেন।

পুরনো খবর:
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.