দশম শ্রেণির দুই কিশোর। এক জন বসেছিল সামনের দিকের বেঞ্চে, অন্য জন শেষের দিকে। সামনের দিকের পড়ুয়ার পিছনে বসার ইচ্ছে হয়। সহপাঠীকে জায়গা ছেড়ে দিতে বললে সে রাজি না হওয়ায় গোলমাল। আর অভিযোগ, তার জেরেই সহপাঠীর বুকে সটান ছুরি চালিয়ে দিল বছর ষোলোর ছেলে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে, চারু মার্কেট থানা এলাকার এক হিন্দি মাধ্যম স্কুলে। কবরডাঙার বাসিন্দা গুলশন সাহু নামে আহত ওই ছাত্রকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার সহপাঠী নীতীশ রাই গ্রেফতার হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ক্লাস চলাকালীন বসার জায়গা নিয়ে দশম শ্রেণির ওই দুই ছাত্রের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তা গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। তারই মধ্যে নীতীশ ব্যাগ থেকে ফল কাটার ছুরি বার করে এই কাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ। |
বুকের ক্ষতস্থান দেখাচ্ছে জখম গুলশন সাহু। —নিজস্ব চিত্র |
স্কুলের পড়ুয়াদের সূত্রে খবর, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ হিন্দি ক্লাস চলছিল। গুলশন বসেছিল পিছনের একটি বেঞ্চে। নীতীশ ছিল সামনের দিকে। নীতীশ গুলশনকে বলে, পিছনের জায়গা থেকে উঠে গিয়ে সামনের দিকে বসতে। নীতীশের কথা শোনেনি গুলশন। শিক্ষকের সামনেই তাদের মধ্যে এ নিয়ে বিবাদ বাধে। ছুরি চালিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় নীতীশ। তাতেও গুলশন রাজি না হওয়ায় সত্যিই ছুরি বার করে গুলশনের বুক চিরে দেয় সে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “স্কুল চলাকালীন ছুরি দিয়ে কেউ কাউকে মেরেছে বলে আমার জানা নেই।” তিনি জানিয়েছেন, দুই ছাত্রের মধ্যে গোলমাল হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে যদি কিছু ঘটে থাকে, তা স্কুল চত্বরের বাইরে ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন। কামারমাঠের বাসিন্দা নীতীশের বিরুদ্ধে এ দিনই চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গুলশনের বাবা রামস্বরূপ সাহু। পুলিশ নীতীশকে জুভেনাইল আইনে গ্রেফতার করেছে। আজ, বৃহস্পতিবার তাকে জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে। |