পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে কেএলও জঙ্গি মালখান সিংহ ঘনঘন মোবাইল এবং সিমকার্ড পাল্টেচ্ছে বলে পুলিশ ও গোয়েন্দা জানতে পেরেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কেএলও সেক্রেটারি জঙ্গি মালখান দুই সপ্তাহে ১২টি হ্যান্ডসেট, ১৭টি সিম কার্ড ব্যবহার করেছেন। গোয়েন্দারা জেনেছেন, মালখান সিংহ বামনগোলা, হবিবপুর, গাজলে বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ঘাঁটি গেড়ে তিনি টাকা আদায় করছেন।
মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “গত কয়েক দিনে পুলিশ মালখান সিংহের চার সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে। এখন মালখান সিংহ-১০ জন সঙ্গী নিয়ে বামনগোলা, গাজল, হবিবপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন। দ্রুত ওঁকে ধরার সব রকম চেষ্টা হচ্ছে।” পুলিশ সুপার জানান, ১০ জন ঘনিষ্ট সঙ্গী বাদে বামনগোলা, হবিবপুর এবং গাজল এলাকায় আরও ২০-২৫ জনকে পুলিশ চিহ্নিত করেছে। এরা মালখান সিংহকে আশ্রয় দিচ্ছেন। তাঁদের গতিবিধির উপর পুলিশ নজর রাখছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার কয়েক জন অফিসার জানান, সম্প্রতি মালখান সিংহকে বামনগোলা থানার পাকুয়াহাট, হবিবপুর থানার কানতুর্কা ছাড়াও এলাকার সীমান্তবর্তী মধ্যে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। তা এই কেএলও জঙ্গি যাতে সীমান্ত টপকে যাতে বাংলাদেশে পালাতে না পারে সে জন্য ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ নজরদারি শুরু করেছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, মালখান সিংহের হাতে একাধিক অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। রয়েছে গ্রেনেডও।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে পুলিশের তাড়া খেয়ে মালখান সিংহ পুরাতন মালদহের পোপড়া এলাকায় পালিয়ে যায়। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে তাঁকে ধরতে পারেনি। পালানোর আগে একটি বাড়িতে মালখান দলবল নিয়ে মাংস ভাতও খায় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। সীমান্তে বিএসএফ এবং জেলা জুড়ে তল্লাশি অব্যাহত থাকায় মালখান জেলার বাইরে বার হতে পারেননি বলে জেলা পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, তার মোবাইলের টেলিফোনের সূত্র ধরেও নানা এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সেই সূত্রেই মালখান সিংহ দফায় দফায় হ্যান্ডসেট এবং সিম বদল করছেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে খবর এসেছে। গত মার্চ মাসে নেপাল থেকে সংগঠনের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণার পর মালখান সিংহ, নীলম্বর রাজবংশী এবং তরুণ থাপাকে উত্তরবঙ্গে বিশেষ দায়িত্ব দেয় কেএলও। তার পর থেকেই এই জঙ্গিরা তোলাবাজি ও অপহরণের ছক কষা শুরু করেছে। ১৮ জুন কলকাতা রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের তরফে তিন জনের নামে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। |