পুকুরের পাহারাদারি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের জেরে ১০ বছরের এক বালককে খুন করে জলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ভোরে ইংরেজবাজার থানার কেষ্টপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ছাত্রের নাম আলামিন মোমিন (১০)। বাড়ির অদূরের একটি পুকুর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রতিবেশী মণিরুল শেখ ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রজু করেছে। ময়নাতদন্তে মৃত ছাত্রের মাথায় ও কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের সন্দেহ, আলামিনকে খুন করে পুকুরের জলে ফেলা হয়। মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটি পুকুরের জোগানদারের কাজ নিয়ে দুই প্রতিবেশীর গোলমালের জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত বাবা ও ছেলে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। দুজনকে ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।
পুলিশ জানায়, কেষ্টপুর গ্রামে কুণাল বসুর একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরে জোগানদার করার জন্য আজিজুল শেখ অনেকদিন ধরে কুণাল বসুকে ধরাধরি করছিলেন। কিন্তু পুকুরের মালিক আজিজুল শেখকে না নিয়ে তাঁর প্রতিবেশী মণিরুল শেখকে জোগানদারের কাজে নিয়োগ করেন। তা নিয়ে আজিজুলের সঙ্গে মণিরুলের বিবাদ বাঁধে। কয়েকদিন আগে মণিরুলের দুই ছেলে আফিম ও আলিম আজিজুলের ভাইকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। থানায় মণিরুল শেখের ছেলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জানানো হয়। তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে গোলমাল তুঙ্গে ওঠে।
মৃত ছাত্রের বাবা আজিজুল বলেন, “সোমবার দুপুরে ছেলে গরু চড়াতে বাড়ি থেকে বার হয়। সন্ধ্যা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় গ্রামে অনেক খুঁজেছি। কোথাও ছেলেকে খুঁজে পাইনি। এর পরে ছেলের এক সহপাঠীর কাছে জানতে পারি আমার ছেলেকে মেরে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ গিয়ে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে।”
মৃত ছাত্রের সহপাঠী আবদুল করিমের অভিযোগ, তারা খেলার সময়ে পুকুর পাড়ে গেলে আফিম ও আলিম বাঁশ দিয়ে মেরে তাদের চ্যাংদোলা করে পুকুরের জলে ফেলে দেয়। করিমের দাবি, “আমরা কয়েকজন কোনমতে সাঁতরে পাড়ে উঠি।” ইংরেজবাজার থানার আইসি দিলিপ কর্মকার বলেন, “বালকটিকে খুন করে পুকুরের জলে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়ে জাল ফেলে দেহ উদ্ধার হয়। তদন্ত শুরু হয়েছে।” |