টুকরো খবর |
পতাকা ছেঁড়ায় পথ অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
দলীয় পতাকা, ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা এগরা ২ ব্লকের শ্যামপুরে তাজপুর-বাথুয়াড়ি রাস্তা অবরোধ করল তৃণমূল। পুলিশ এসে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে। সিপিএম অভিযোগ মানেনি। তাদের পাল্টা অভিযোগ, এ দিন অবরোধ চলাকালীন সিপিএম সমর্থক কৃষ্ণপদ মণ্ডল ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী দেবু মাইতির ছেলেকে মারধর করেছে তৃণমূল। উভয়পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। রবিবার রাতে তৃণমূলের কর্মী অপূর্ব মাইতিকে তিন সিপিএম কর্মী মারধর করে বলে অভিযোগ। আহত অপূর্ববাবু হাসপাতালেও ভর্তি হন। ওই ঘটনায় ধৃত তিন অভিযুক্তকে সোমবার কাঁথি এসিজেম আদালতে তোলা হলে তাঁরা জামিন পেয়ে যায়। অভিযোগ, জামিন পেয়েই সোমবার রাতে ওই তিন সিপিএম কর্মী কয়েক জনকে নিয়ে তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে দেয়। তার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সকালে পথ অবরোধ করে তৃণমূল। সিপিএমের বালিঘাই জোনাল কমিটির সম্পাদক বিশ্বম্ভর রায়ের দাবি, “অভিযুক্তরা সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে।” তৃণমূল নেতা প্রকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “অভিযুক্ত সিপিএম কর্মীদের গ্রেফতার না করলে আন্দোলনে যাব।”
|
গর্তে পড়ে প্রৌঢ়ের মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
অন্ধকারে হাঁটার সময় রাস্তার ধারে একটি গভীর গর্তে পড়ে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে ঝাড়গ্রামের চন্দ্রি অঞ্চলের নাঘাটা গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম দুঃশাসন মাহাতো (৪৮)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাত ১১টা নাগাদ বাড়িতে আসা এক আত্মীয়কে পাশের প্রতাপপুর গ্রামে পৌঁছতে যাচ্ছিলেন দুঃশাসনবাবু। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী গৌরীদেবী। অন্ধকারে হাঁটার সময় রাস্তার ধারে একটি গভীর গর্তে পড়ে যান দুঃশাসনবাবু। গর্তের ভিতর বোল্ডার-পাথর ছিল। খবর পেয়ে পরিজন-পড়শিরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। নিকটবর্তী তপসিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা দুঃশাসনবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়। চিকিৎসকদের অনুমান, পড়ে গিয়ে আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষণের ফলেই দুঃশাসনবাবুর মৃত্যু হয়েছে। গোপীবল্লভপুরের একটি বালি খাদানের শ্রমিক ছিলেন দুঃশাসনবাবু। তাঁর স্ত্রী গৌরী মাহাতো কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, “কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল! জলজ্যান্ত মানুষটা চোখের সামনে ছটফট করতে করতে চলে গেলেন।”
|
বধূ নির্যাতনে শিক্ষকের জেল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
দীর্ঘ ২২ বছর মামলা চলার পরে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে এক শিক্ষকের ৬ মাসের জেল হল। মঙ্গলবার কাঁথি আদালতের ফার্স্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দীপাঞ্জন সেন এই সাজা শোনান কাঁথি টাউন রাখালচন্দ্র বিদ্যাপীঠের শিক্ষক পরিতোষ দাসকে। আইনজীবী সুব্রত কুমার দাস জানান, পরিতোষবাবু তাঁর স্ত্রী কল্যাণীদেবীর উপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। ১৯৯১ সালে তিনি দুই শিশু সন্তান-সহ কল্যাণীদেবীকে ঘর থেকে বার করে দেন। নিরুপায় কল্যাণীদেবী পরিতোষ দাসের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। কাঁথি থানার পুলিশ সেই সময়ই গ্রেফতার করেছিল পরিতোষবাবুকে। পরে অবশ্য জামিন পান তিনি। ইতিমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিতোষ দাসকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। দীর্ঘ ২২ বছর মামলা চলার পর মঙ্গলবার বিচারক মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন।
|
মাংস বিক্রেতার জেল হেফাজত
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ঘাড়ে চপারের কোপ মেরে প্রেমিকাকে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত হরিহর সামন্তের জেল হেফাজত হল। সোমবার বিকালে ঘাটাল শহরের কুশপাতা এলাকায় মাংস দোকানে বসে হরিহর তাঁর প্রেমিকা পূর্ণিমা সামন্তের ঘাড়ে কোপ মেরেছিলেন। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় পূর্ণিমাদেবী ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। রাতেই খবর পেয়ে পূর্ণিমাদেবীর দাদা ঘাটাল শহরের নিশ্চিন্দিপুরের বাসিন্দা শিবরাম দোলই পুলিশের কাছে হরিহরবাবু ও ও তাঁর জামাই সাগর বেজের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। হরিহরবাবু সোমবার বিকেলে ঘাটাল থানায় আত্মসমর্পণ করেন। ঘাটালের কুশপাতার বাসিন্দা সাগর বেজকে রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। মঙ্গলবার তাঁদের ঘাটাল আদালতে তোলে পুলিশ। বিচারক দু’জনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
|
পুরনো খবর: প্রেমিকার ঘাড়ে কোপ |
ধৃত তিন ডাকাত
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল
|
ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া তিন কুখ্যাত ডাকাতকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে চন্দ্রকোনা থানার পলাশচাবড়ি এলাকার একটি ফাঁকা মাঠে জড়ো হয় দশ জনের ওই ডাকাত দল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে পাকড়াও করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। ধৃতদের নাম মদন ওরফে মসিদুল খান, মহাসিন খান এবং শেখ নাজিরুল। তাঁদের বাড়ি চন্দ্রকোনা থানার কৃষ্ণপুরে। মঙ্গলবার ধৃতদের ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। দশটায়। |
|