চাঁদা তুলে ছাদ বাঁচালো ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা
টিনের ছাউনি। এদিকে-সেদিকে ছোট-বড় ফুটো রয়েছে। ফলে, সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। সংস্কারের জন্য বারেবারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করা হয়েছে। তেমন সুরাহা হয়নি। অগত্যা, নিজেরাই চাঁদা তুলে অফিসের ছাদ অস্থায়ী ভাবে মেরামত করলেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা। মেদিনীপুর সদর ট্রাফিক অফিসের। ওসি ট্রাফিক সন্দীপ বিশ্বাসের কথায়, “ছাদ মেরামত না-করলে সমস্যা হচ্ছিল। ঘরটি পুরনো। টিনের ছাউনি। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। কর্মীরা সমস্যার কথা জানাচ্ছিলেন। আপাতত, পিচ চট দিয়েই ছাদ মেরামত করা হল।”
মেদিনীপুর কোতয়ালি থানার একপাশে রয়েছে সদর ট্রাফিকের অফিস। টানা একটি রুম। আলমারি রেখে দু’ভাগে ভাগ করা। একদিকে অফিস। অন্যদিকে আবাসন। সমস্যা আজকের নয়। বহু দিনের। মাঝেমধ্যে কোতয়ালি থানার কিছু ঘর সংস্কার করা হয়েছে। তবে বহুদিন হল ট্রাফিক অফিসের টিনের ছাউনি সংস্কার করা হয়নি। ফলে, বর্ষাকাল এলেই সমস্যায় পড়েন আধিকারিক-কর্মীরা। কখন কোন দিক দিয়ে অফিসের মধ্যে জল পড়বে, বোঝা যায় না। পুরো ছাদটা যেন সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে। ক’দিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছিল। তখনও সমস্যা হয়। পরিস্থিতি দেখে আর সময় নষ্ট করতে রাজি হননি ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা। সিদ্ধান্ত নেন, আর অর্থ বরাদ্দের জন্য বসে থাকা নয়, বরং নিজেরা চাঁদা তুলেই অফিসের ছাদ মেরামত করবেন।
ট্রাফিক অফিসে টিনের উপর পিচচট লাগানো চলছে।—নিজস্ব চিত্র।
সেই মতো মঙ্গলবার টিনের ছাউনির উপর পিচ চট দেওয়া হল। এর ফলে, ভারী বৃষ্টি হলেও আপাতত আর ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ার সম্ভাবনা নেই। ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মী বলছিলেন, “সামনে ভরা বর্ষা রয়েছে। ছাদের উপর থেকে জল পড়লে তো আর কাজ করা যায় না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।”
কেন সমস্যার কথা জেনেও নতুন ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়নি, নিদেনপক্ষে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি?
পুলিশের এক সূত্রের বক্তব্য, শহরের পাটনাবাজার এলাকায় কোতায়ালি থানা স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর জন্য একটি জায়গাও নির্দিষ্ট হয়েছে। এখন যেখানে থানা রয়েছে, তার চারপাশে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। পাটনাবাজারে থানা স্থানান্তর হলে আর এই সমস্যা থাকবে না। শুধু তো ট্রাফিক পুলিশের এই অফিস নয়, থানার আরও কিছু ঘরেরও একই পরিস্থিতি। পাশাপাশি, কোতয়ালি থানায় পরিকাঠামোগত বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। থানায় আসামীদের থাকার জন্য যে ‘সেল’ রয়েছে, তার জায়গা পর্যাপ্ত নয়। ফলে, আসামীদের সমস্যায় পড়তে হয়। সেলটি ঘিঞ্জি। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলা আসামীদের রাখার জন্য নির্দিষ্ট সেলটিরও এই অবস্থা। পরিস্থিতি দেখেই পাটনবাজারে থানা স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশের এক অফিসারের কথায়, “থানা স্থানান্তর হবে। তাই কোতয়ালি থানায় সে ভাবে আর সংস্কার কাজ হচ্ছে না। তবে, ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা নিজেরা চাঁদা তুলে টিনের ছাউনির উপর পিচ চট দিয়েছেন। এটা ভাল উদ্যোগ।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.