|
|
|
|
নয়াগ্রামে পক্ষপাতে অভিযুক্ত পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
নয়াগ্রামে দলের চার সমর্থককে বিনা কারণে পুলিশ আটক করে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলল সিপিএম। সোমবার গভীর রাতে নয়াগ্রাম থানার কুড়চিবনি ও রাইপড়িয়া গ্রাম থেকে চার সিপিএম সমর্থককে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার রাতে মোটর সাইকেলে করে তৃণমূলের লোকজন ওই এলাকায় গেলে সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের বচসা ও হাতাহাতি হয়। মারমুখী গ্রামবাসীর একাংশের রোষ থেকে বাঁচতে মোটর সাইকেল ফেলে পালান তৃণমূলের লোকজন। এরপরই নয়াগ্রাম থানার পুলিশ রাইপড়িয়া ও কুড়চিবনি গ্রামে গিয়ে কাশি দোলাই, ভূষণ দেহুরি, প্রবীর রানা ও আদিত্য দোলাই নামে চার সিপিএম সমর্থককে আটক করলে উত্তেজনা ছড়ায়। আটকদের নিয়ে যেতে পুলিশকে বাধা দেন সিপিএম সমর্থক বাসিন্দারা। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে গ্রামবাসীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে আটকদের থানায় নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
সিপিএমের নয়াগ্রাম জোনাল সম্পাদক হিমাংশু ত্রিপাঠীর অভিযোগ, “মঙ্গলবার ওই চারজনকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলাও হয়নি। আমাদের আশঙ্কা, পুলিশ সময় নিয়ে ঘটনা সাজাচ্ছে।” তৃণমূলের নয়াগ্রাম ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল দত্তের পাল্টা অভিযোগ, “সোমবার রাতে যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উৎপল সেনাপতি ও দলীয় কর্মী স্নেহময় পাল ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ওই এলাকায় গেলে সিপিএমের লোকজনের হাতে তাঁরা আক্রান্ত হন। কোনও মতে উৎপল ও স্নেহময় মোটর সাইকেল ফেলে পালিয়ে আসেন।”
পুলিশ কিছু বলতে চায়নি। ঝাড়গ্রামের এসপি ভারতী ঘোষের বক্তব্য, “কী ঘটেছে খতিয়ে দেখছি।” |
|
|
|
|
|