ফিরে এলেন আরও দেড়শো জন। বদ্রীনাথে আটক ওই কয়েক জনকে নিয়ে আসার পরেই উত্তরাখণ্ডে শেষ হয়ে গেল উদ্ধারপর্ব। বদ্রীনাথে আর কেউ আটকে নেই বলে দাবি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। চামোলির জেলাশাসক এস এ মুরুগেশান বলেছেন, “বদ্রীনাথে সবাইকে উদ্ধার করা গিয়েছে। কিছু স্থানীয় লোক এবং নেপালি শ্রমিকরা রয়েছেন। রাস্তা সারাই হলে তাঁরা ফিরে আসতে পারবেন।”
এর মধ্যে আগামিকাল থেকে উত্তরাখণ্ডের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পিথোরাগড়, নেনিতাল চম্পাওয়াতের মতো জায়গায় ৪৮-৭২ ঘণ্টা টানা বৃষ্টিপাত হতে পারে।
উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে গেলেও এখনও কত মানুষ নিখোঁজ, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তার মধ্যেই কেদারনাথে মৃতদেহ সৎকারের কাজ ফের ব্যাহত হয়েছে। পচা গলা দেহ যত দ্রুত সম্ভব দাহ করার চেষ্টা করা হলেও বাদ সেধেছে খারাপ আবহাওয়া। বিপর্যয়ের পরে সতেরো দিন পার হয়ে গেলেও ৩৬টি দেহ এত দিনে দাহ হয়েছে। ৬০-৬৫টি দেহ এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে কেদারনাথে। তা ছাড়া কেদারনাথের মন্দির চত্বরে যে বিপুল পরিমাণ জিনিস জমা হয়েছে, সেগুলি সরানোও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ রাস্তা না থাকায় সেখান থেকে জিনিস নিয়ে আসার মতো বড় কোনও যন্ত্র ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
অলকানন্দার উপরে লাম্বাগারের সেতু সারাতে দু’তিন মাস লেগে যাবে বলে দাবি মুরুগেশানের। দূরের গ্রামগুলোতে ত্রাণ পৌঁছনো এই সব কারণে কঠিন হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান। গৌরীকুণ্ড-কেদার সড়ক এখনও বন্ধ। রুদ্রপ্রয়াগের কেদারঘটি এলাকার অন্তত ১৭০টি গ্রামে খাদ্যশস্যের অভাব দেখা দিয়েছে। তবে জেলার কালীমঠ, চন্দ্রপুরী ও সৌরিতে ত্রাণ পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে।
নানা দিক থেকে অর্থসাহায্য এলেও উত্তরাখণ্ডকে ফের গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক বিশ্বব্যাঙ্ক এবং এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (এডিবি) কাছে সাহায্য চেয়েছে। তাদের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আপৎকালীন অবস্থার কথা চিন্তা করে এডিবি এবং বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ে যে সব গাছ পড়ে গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে এমন সব কাঠ, যার বাজারদর যথেষ্ট। এই ধরনের গুঁড়ি বা টুকরো গঙ্গার জলে ভেসে এসেছে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজপুর গ্রামে। এসএসপি মঞ্জিল সাইনি জানান, কয়েক লক্ষ টাকা দামের এমন সব কাঠ চুরি করেছিলেন গ্রামবাসীরা। সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
|