|
|
|
|
| |
| সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন |
বিকল্প সরকার গড়তে একজোট জেএমএম-কংগ্রেস
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ যতই শেষের দিকে গড়াচ্ছে, রাজ্যে জেএমএম এবং কংগ্রেসের বিকল্প সরকার তৈরির সম্ভাবনা ততই উজ্জ্বল হচ্ছে। আজ দুপুর পর্যন্ত রাঁচিতে যা খবর তাতে সোমবার রাতেই বিকল্প সরকার তৈরির বিষয়টি এক প্রকার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু সরকারিভাবে ঘোষণার অপেক্ষা।
গতকাল রাতেই ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস নেতা রাজেন্দ্র সিংহের বাড়িতে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। আজ পর্যন্ত খবর বিকল্প সরকারে হেমন্তকে মুখ্যমন্ত্রী করতে রাজি হয়ে গিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেএমএম এর সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের দাবি, রাজ্যে বিকল্প সরকার হচ্ছেই। এবং আগামী ১০ তারিখের মধ্যেই তার ঘোষণা হয়ে যাবে।
১৮ তারিখ রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জেএমএম এবং বিজেপির যৌথ সরকারের পতন হয়। তারপর থেকেই জেএমএম এবং ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস নেতারা বারবারই দাবি করেছেন রাজ্যে বিকল্প সরকার তৈরি হবে। কিন্তু কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। এমনকী জয়রাম রমেশ কিংবা শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়ালদের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বারবারই এ রাজ্যে এসে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে বিধানসভা ভেঙে নভেম্বরে নির্বাচনের দিকেই জল গড়াচ্ছে এমনটাই ধরে নেওয়া হচ্ছিল।
কিন্তু আজ সকালে কংগ্রেসের মুখপাত্র শাকিল আহমেদ স্বয়ং জেএমএম সুপ্রিমো শিবু সোরেনের সঙ্গে দেখা করেন। সঙ্গে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস ইনচার্জ বি কে হরিপ্রসাদ। যে ঘটনাকে বিকল্প সরকার গড়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ইঙ্গিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। শিবুর সঙ্গে দেখা করে বেরোনোর পরে শাকিল অবশ্য বলেন,“ ১৮ জুলাইয়ের আগেই সব বিষয়টাই পরিষ্কার হয়ে যাবে। হয় সরকার হবে না হয় বিধানসভা ভঙ্গ হবে।” সোমবার রাত থেকে রাজ্যে বিকল্প সরকার তৈরির বিষয়ে শেষ চেষ্টা শুরু করেছেন দু’ দলের নেতারাই। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা রাজেন্দ্র সিংহরা সরাসরি বলছেন, “নির্দলরাও আমাদের সঙ্গে আছেন। তাঁদের আমরাবুঝিয়েছি সরকারে এলে তাঁরা কী কী সুবিধা পাবেন।”
সূত্রের খবর, শিবুর ছেলে হেমন্তকে মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে যেমন কংগ্রেস রাজি হয়েছে, তেমনই তারা লোকসভা ভোটে গিরিডি, লোহারডাগা, রাঁচি, পলামু-সহ ৮টি আসন চেয়েছে। সেই সব আসন নিয়ে সমঝোতা করতেই আজ দুপুরে হেমন্ত সোরেন, চম্পাই সোরেন-সহ জেএমএম নেতারা দিল্লি গিয়েছেন। এক জেএমএম নেতার কথায়, বিকল্প সরকার তৈরির ক্ষেত্রে লালুপ্রসাদের দল আরজেডির সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত। এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ডে আরজেডির পাঁচ বিধায়ক রয়েছে। ওই নেতার কথায়, “৮২ আসনের বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪২। কংগ্রেস, জেএমএম এবং আরজেডি মিলিয়ে ৩৬টি আসন হয়ে যাবে। বাকি ছ’টি আসনের জন্য রয়েছেন ছয় নির্দল বিধায়ক।” |
|
|
 |
|
|
