|
|
|
|
জয়শঙ্কর নন, সিনিয়র সুজাতাই বিদেশসচিব
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কিছু দিন ধরে টানাপোড়েন চলার পরে বিদেশসচিব পদে আজ সুজাতা সিংহের নাম ঘোষণা করা হল। বর্তমানে তিনি জার্মানিতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন।
সরকারি অন্দরমহলের খবর, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ব্যক্তিগত ভাবে চাইছিলেন চিনে কর্মরত রাষ্ট্রদূত এস জয়শঙ্করকে। কিন্তু সিনিয়রিটিতে এগিয়ে ছিলেন ১৯৭৬ ব্যাচের সুজাতা। তিনি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন রাজ্যপাল ও গোয়েন্দা বিভাগের প্রাক্তন প্রধান টি ভি রাজেশ্বরের কন্যা। কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, তাইল্যান্ড ও ফ্রান্সে। ছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক যুগ্মসচিবও।
চোকিলা আইয়ার এবং নিরুপমা রাওয়ের পর দেশের তৃতীয় মহিলা বিদেশসচিব হচ্ছেন সুজাতা। এই পদের জন্য নাম উঠে এসেছিল জয়শঙ্কর, সুজাতা, যামিনী ভাগবতী ও সুধীর ব্যাসের। শেষ পর্যন্ত জয়শঙ্কর ও সুজাতার নাম নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। জয়শঙ্কর প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ কে সুব্রহ্মণ্যনের ছেলে ও মনমোহনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আমেরিকার বিভিন্ন ক্ষমতা-গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। ভারত-মার্কিন অসামরিক পরমাণু চুক্তির প্রক্রিয়ায় রণেন সেনের পাশাপাশি জয়শঙ্করের সক্রিয়তাও ছিল যথেষ্ট। এমন এক জনকেই তাঁর দূত হিসেবে পেতে চাইছিলেন মনমোহন। কিন্তু কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, সিনিয়রিটি ডিঙিয়ে জয়শঙ্করকে আনলে কূটনীতিকদের মধ্যে অসন্তোষ হত। সম্প্রতি দলের কোর গ্রুপের বৈঠকেও তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ২০০৬-এ শিবশঙ্কর মেননকে বিদেশসচিব করা হয় ছ’জন সিনিয়রকে টপকে। এ নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়। ওই ছ’জনের অন্যতম বীণা সিক্রি কার্যত বিদ্রোহই ঘোষণা করেছিলেন। বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ, সনিয়ার রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলের মত নেতারা তাই কখনওই চাননি ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক। বিস্তর আলোচনার পরে শেষ পর্যন্ত সপ্তাহ তিন আগে চূড়ান্ত হয় সুজাতার নাম। |
|
|
|
|
|