|
|
|
|
সমঝোতার চেষ্টায় রাজনাথ |
মোদীকে রুখতে আবার সক্রিয় আডবাণী-সুষমা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
প্রচার কমিটির দায়িত্বের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদীর হাতে যাতে অসীম ক্ষমতা চলে না যায়, সে জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তাঁর বিরোধী বিজেপি নেতারা।
লালকৃষ্ণ আডবাণী দলীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহকে আগেই জানিয়েছিলেন, মোদীকে প্রচার কমিটির প্রধান করার ব্যাপারে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু পাশাপাশি আর একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হোক। কিন্তু, সেই প্রস্তাব মানেননি রাজনাথ। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানান, মোদীর ক্ষমতা খর্ব করতেই এই প্রস্তাব দিয়েছেন আডবাণী। এই মনোমালিন্যের জেরেই শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিয়েছিলেন আডবাণী। পরে আবার দল ও সঙ্ঘের চাপে তা প্রত্যাহারও করে নেন।
বিজেপি সূত্রে খবর, এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। মোদী সেখানে নিজের ঘনিষ্ঠ নেতাদের সামিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তার আগেই দিল্লিতে রাজনাথের অনুপস্থিতিতে তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মোদী। সব সাধারণ সম্পাদকই সেখানে সামনের বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে কোন পথে এগোতে হবে তার পাঠ নিয়েছেন। এই বৈঠক মোদী-বিরোধী নেতাদের কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। |
|
লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজ, মুরলীমনোহর জোশীর মতো নেতাদের প্রশ্ন, দলের সংসদীয় বোর্ডকে উপেক্ষা করে মোদী সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করছেন। তা হলে কি মোদীই দলের নীতি নির্ধারণ করবেন? সে ক্ষেত্রে তো দলের সংবিধানকেই বদলে দিতে হয়!
আডবাণী গোষ্ঠীর এই আপত্তি প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেন রাজনাথ সিংহ। এমনিতেই মোদীকে সামনে তুলে ধরলে মেরুকরণের রাজনীতির খেসারত দিতে হবে বলে আডবাণী-সুষমারা দলের অন্দরে সরব হয়েছেন। তার উপরে মোদীর এই বৈঠকের পর থেকে নতুন আক্রমণে এখন নতুন ঝক্কির মুখে রাজনাথ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি এখন দলের এই শীর্ষ নেতাদের ক্ষোভ কমানোর কৌশল নিয়েছেন। এই সপ্তাহে ইশরাত জহানের মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটের মতিগতি দেখে বৃহস্পতিবারই সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক ডাকতে পারেন রাজনাথ। সে দিনই প্রচার কমিটি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। রাজনাথ শিবিরের এক নেতা বলেছেন, “নির্বাচনের আগে দলের ঐক্যের চেহারাটি দেখানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। সে কারণে মোদীর বিরুদ্ধে যাঁরা গোঁসা করে বসে রয়েছেন, তাঁদের খুশি রাখাটাও আমাদের কাজ।” |
|
|
|
|
|