অপহরণ নিয়ে প্রথম থেকেই ধন্দ ছিল পুলিশের! ঘটনার পাঁচ দিন পরে ‘অপহৃত’ ব্যক্তি নিজেই বাড়ি ফিরে আসায় তা আরও স্পষ্ট হল। পুলিশের দাবি, পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতেই পালিয়ে গিয়ে অপহরণের মিথ্যা গল্প ফেঁদেছিলেন প্রদীপ খান্ডেলওয়াল নামে ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।
পুলিশের দাবি, এ দিন জোড়াসাঁকো থানায় জেরায় ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন অপহরণের মিথ্যা গল্প বলে শিয়ালদহ, হাওড়া, যাদবপুর, বারুইপুর ও শেষে ব্যারাকপুর ঘুরে বাড়ি ফেরেন তিনি। কারণ, ঘুরতে ঘুরতে পকেটের ৮০০ টাকাও শেষ হয়ে যায়। এ দিন থানা থেকে আদালতে যাওয়ার পথে প্রদীপবাবু বলেন, “অনেকে টাকা পাবে। তাই মিথ্যা বলে পালিয়ে ছিলাম। পরে ভাগলপুরে জমি-বাড়ি বিক্রি করে ধার মেটানোর কথা মনে হওয়ায় ফিরে এলাম।”
পুলিশ জানায়, ২৭ জুন, বৃহস্পতিবার গরফা থানার পূর্বাচল মেন রোডের বাসিন্দা প্রদীপবাবুর স্ত্রী নিলু খান্ডেলওয়াল জোড়াসাঁকো থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ করেন। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (মধ্য) দেবেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ বলেন, “শুরু থেকেই ধন্দ ছিল। ওই দিন কলেজ স্ট্রিট ও বাঙুর বিল্ডিং এলাকার সিসিটিভিতে অপহরণের ছবি মেলেনি।”
পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার প্রদীপবাবু পুলিশকে জানান, লেক গার্ডেন্স রেল গেটের সামনে তাঁর মোবাইলের দোকান চার বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। এলাকারই বাসিন্দা মানিকবাবুর ছেলের থেকে মাঝেমাঝে তিনি টাকা ধার নিতেন। মানিকবাবুর পাওনা ছিল ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। দীর্ঘ দিন টাকা শোধ করতে না পারায় মানিকবাবু তাঁকে বলেন কম সুদে কুড়ি লক্ষ টাকা ঋণের ব্যবস্থা করে দিলে পাওনা টাকা মকুব করবেন। সেই মতো ২৭ জুন মানিকবাবুকে অশোক শর্মা নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে বাঙুর বিল্ডিংয়ে নিয়ে আসেন তিনি। কিছু না হওয়ায় মানিকবাবুকে বসিয়ে রেখে পিছনের দরজা দিয়ে চম্পট দেন।
|