নিকাশির হাল ফেরাতে
নিজস্ব সংবাদদাতা |
টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই স্পষ্ট হয়েছে নিকাশির বেহাল চিত্রটা। আর তার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তাই পুরোদমে বর্ষার আগে নিকাশি সমস্যা মেটাতে মঙ্গলবার তড়িঘড়ি পাঁচটি পুরসভাকে নিয়ে বৈঠক করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেচ ভবনের ওই বৈঠকে ছিলেন বিধাননগরের পুর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী-সহ কামারহাটি, দক্ষিণ দমদম, চন্দননগর এবং রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার আধিকারিকেরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ওই পুর-এলাকার খাল ও নিকাশি নালার জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করবে সেচ দফতর। এমনকী চন্দননগর পুর-এলাকায় হড়পা বানে গঙ্গার পাড়ে যে ভাঙন হয়েছে তাও মেরামত করা হবে। কিন্তু বর্ষায় এই উদ্যোগ কেন? সেচ দফতরের আধিকারিকেরা জানান, কামারহাটি পুরসভার উদয়পুর ও দাঁতিয়া খাল এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভার দমদম ক্যান্টনমেন্ট খাল সংস্কারের দায়িত্ব পুরসভার। কিন্তু তড়িঘড়ি সমস্যা মেটাতে সেচ দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে বাগজোলা খালের সংস্কারের দায়িত্ব তাদেরই। যার উপর বিধাননগর ও রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার একাংশের নিকাশি নির্ভরশীল। রাজীববাবু বলেন, “আপার বাগজোলায় কাজ চলছে। বিধাননগর পুরসভার থেকে সাকশন মেশিন চাওয়া হয়েছে ওই খালের সংস্কারে। লোয়ার বাগজোলা সংস্কার বাকি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ায় নতুন করে কাজ করা যাচ্ছে না। অন্য পুর-এলাকার সমস্যা মেটাতেও কাজ করছি।”
|
বাগুইআটির একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সায়ন্তন বসুকে মারধরের ঘটনায় তারই এক সহপাঠী সুহেশ মুন্দ্রাকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত আর এক ছাত্র বিশাল সোনি এখনও হাসপাতালে ভর্তি। সুহেশকে এ দিন তাদের বাগুইআটির বাড়ি থেকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ওই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে সায়ন্তনকে ভারী কিছু দিয়ে মারা ও মারাত্মক আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই ছাত্রেরই বয়স ১৮-এর কম। সুহেশকে এ দিন বিধাননগর জুভেনাইল আদালত ৯ জুলাই পর্যন্ত হাওড়ার একটি হোমে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার দুপুরে ইউনিট টেস্টের পরে শ্রেণিকক্ষেই সায়ন্তনের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে বিশাল এবং সুহেশ। অভিযোগ, বিশাল ও সুহেশ সায়ন্তনকে ফেলে পেটায়। তার বাঁ কানের পাশে আঘাত লাগে। প্রথমে সায়ন্তনকে স্কুল লাগোয়া একটি নার্সিংহোমে, পরে পার্ক স্ট্রিট-এজেসি বসু রোডের মোড়ে এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরেই সায়ন্তনের বাবা আশিস বসু, বিশাল ও সুহেশের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সায়ন্তনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য তাকে অবশ্য আইটিউ-তে রাখা হয়েছে।
পুরনো খবর: মারামারিতে গুরুতর আহত ছাত্র, দুই সহপাঠী সাসপেন্ড |
মালপত্র নিয়ে উধাও ট্যাক্সি |
ঠিকানা জানতে ট্যাক্সি থেকে নেমেছিলেন যাত্রী। সেই সুযোগে গাড়িতে রাখা তাঁর ইমারতি দ্রব্য নিয়ে চম্পট দেয় ট্যাক্সিচালক। পরে সে ওই সব জিনিস বেচেও দেয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গাড়িচালক দিলীপ দাস ও রাহুল সাউ নামে অন্য এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ইমারতি দ্রব্যও। পুলিশ জানায়, শালিগ্রাম যাদব নামে সল্টলেকের এক বাসিন্দা তপসিয়া রোডের একটি দোকান থেকে ১০ হাজার টাকার মার্বেল কিনে ট্যাক্সিতে তোলেন। সায়েন্স সিটির কাছে একটি আবাসনে যাচ্ছিলেন তিনি। আবাসনের সামনে গিয়ে ঠিকানা জিজ্ঞাসা করতে তিনি ট্যাক্সি থেকে নামেন। তার পরেই চালক ট্যাক্সি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
|
আগুনে পুড়ে গেল পাউডারের গুদাম। |
আগুন লাগল একটি পাউডার তৈরির কারখানার গুদামে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটি থানার নজরুল পার্কে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ধোঁয়া বাড়তে থাকে। আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কে বেরিয়ে আসেন। কারখানার কর্মীরাই দমকলে খবর দেন। দমকলের চারটি ইঞ্জিন প্রায় দু’ঘণ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন।
|
পকেটমারির অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার তিলজলা রোড থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের নাম শেখ খালেক, মহম্মদ ইমতিয়াজ ওরফে আন্তু এবং শেখ ভোলা। সকলেই তপসিয়ার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, গত ২৬ জুন বিকেলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে হাওড়া-খিদিরপুর রুটের একটি বেসরকারি বাসে উঠেছিলেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা আদ্রিশ আহমেদ। কিছু দূর যাওয়ার পরেই তিনি হঠাৎ খেয়াল করেন, পকেট কাটা। উধাও টাকা। সঙ্গে সঙ্গে বাস থেকে নেমে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তার ভিত্তিতে খালেক, আন্তু এবং ভোলা ধরা পড়ে। মঙ্গলবার আদালত ধৃতদের ৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দেয়।
|
সল্টলেকের করুণাময়ী আবাসনের জি ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। মৃতের নাম বোধিসত্ত্ব মুখোপাধ্যায় (৩৬)। ওই ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে পুলিশ জেনেছে, তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। |