বাগুইআটির একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে তিন ছাত্রের মধ্যে মারামারির জেরে একটি ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। সায়ন্তন বসু নামে ওই কিশোরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে তার দুই সহপাঠীকে।
স্কুল-কর্তৃপক্ষ জানান, দ্বাদশ শ্রেণির বাণিজ্য বিভাগের তিন ছাত্র সায়ন্তন, বিশাল সোনি ও সুহেশ মুন্দ্রা সোমবার দুপুরে ইউনিট টেস্টের পরে শ্রেণিকক্ষেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। পরস্পরকে কিল, চড়, ঘুষি মারতে থাকে। সায়ন্তনের বাবা আশিস বসু জানান, ছেলে তাঁর মোবাইলে ফোন করে হঠাৎ জানায়, দুই ছাত্র তাকে বেধড়ক
|
সায়ন্তন বসু |
পিটিয়েছে। তিনি যেন দ্রুত চলে আসেন। আশিসবাবু স্কুলে পৌঁছে দেখেন, তাঁর ছেলে তেতলা থেকে কোনও ভাবে নেমে এসেছে। কী হয়েছে, ভাল করে জানানোর আগেই সায়ন্তন পড়ে যায়। তার মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে থাকে।
সায়ন্তনকে স্কুলের লাগোয়া একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পরে চিকিৎসকদের ধারণা, মাথা ও কানের পিছনে ভারী কিছুর আঘাতে ওই ছাত্র সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। তার মাথার পিছনে রক্ত জমাট বেঁধে থাকতে পারে বলেও চিকিৎসকদের অনুমান। তার পরেই সায়ন্তনকে পার্ক স্ট্রিট ও আচার্য জগদীশচন্দ্র রোডের মোড়ে একটি হাসপাতালে নিয়ে যান আশিসবাবু।
মারামারি কেন? আশিসবাবু বলেন, ‘‘কিছু জানানোর আগেই ছেলে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে শুনেছি, ক্লাসেরই কোনও ছাত্রীকে নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল।’’ রাতে দুই ছাত্র ছাড়াও স্কুল-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, “আমার ছেলেকে দু’টি ছাত্র আক্রমণ করল। অথচ স্কুল-কর্তৃপক্ষ কিছুই জানতে পারলেন না? ছেলে ফোন করে আমাকে ডাকল। কিন্তু কোনও শিক্ষক বিষয়টি জানতে পারলেন না। কোন ভরসায় ছেলেকে স্কুলে পাঠাব?” স্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহা জানান, পরীক্ষার পরে অফ-পিরিয়ডে ঘটনাটি ঘটে। তখন কোনও শিক্ষক ক্লাসে ছিলেন না। তিনি বলেন, “কী কারণে মারামারি হল, খতিয়ে দেখা হবে।” অভিযুক্ত দুই ছাত্রের অভিভাবকেরাও রাতে বাগুইআটি থানায় হাজির হন। বিশালের বাবা মোতিলাল সোনি বলেন, “তিন ছাত্রই মারামারি করেছে। মার খেয়েছে আমার ছেলেও।” |