জল জমা নিয়ে কাজিয়া
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ভাসছে কামারহাটি-বেলঘরিয়া-দক্ষিণেশ্বর এবং সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হোঁচট খাচ্ছে প্রায় দু’বছর আগে কেন্দ্রীয় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সহায়তায় নিকাশি-প্রকল্পের কাজ। মুশকিল আসানের পথ খুঁজতে সোমবার মহাকরণে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রকের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা স্থানীয় সাংসদ সৌগত রায়। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-সিপিএম কাজিয়াও। কামারহাটি পুরসভার বিরোধী দলনেতা স্বপন মণ্ডল দায়ী করেছেন পুর-চেয়ারম্যান সিপিএমের তমাল দে-কে। তাঁর দাবি, “চেয়ারম্যান তৎপর হলে এই অবস্থা এড়ানো যেত।” অন্য দিকে, তমালবাবু বলেন, “এই বিস্তীর্ণ এলাকার জল যে সব খাল দিয়ে বেরোয়, সেচ দফতর তা সংস্কারে হাত দিয়েছে। আমাদের আপত্তি উপেক্ষা করে খালের নানা অংশে মেট্রোর স্তম্ভ হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে নিকাশির কাজ ঢিমেতালে চলছে। সৌগতবাবু বলেন, “ওই প্রকল্পে ৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে ৩০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। কেন্দ্রে ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ ঠিকমতো পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ ছিল। প্রকল্পের কাজটা যেন হয়, তা দেখতে পুরমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।” |
বরাহনগরের প্রশান্তচন্দ্র মহালনবীশ মহাবিদ্যালয়ে এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেখানকারই এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, মারধরে আহত ছাত্রের নাম কুন্তল বসাক। তিনি বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাহুল চৌধুরী ও তাঁর সঙ্গীরা কুন্তলকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। কুন্তল পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, সোমবার দুপুরে তিনি গ্রন্থাগারে বই আনতে গিয়েছিলেন। তিনি কেন তাঁদের দলে যোগ দেননি, সেই প্রশ্ন তুলে রাহুল ও তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে বই নিতে বাধা দেন। প্রতিবাদ করায় রাহুল ও তাঁর দলবল তাঁকে মারধর করেন বলে কুন্তলের অভিযোগ। বন্ধুরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। বালির রাজচন্দ্রপুর দিলীপ নগরের বাসিন্দা কুন্তল বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। রাতে তাঁর মা বেবি বসাক বরাহনগর থানায় রাহুলের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কুন্তলকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে রাহুল বলেন, “দক্ষিণ বরাহনগর টাউন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতো আমি চলতে রাজি হইনি। তাই ওঁরা ছক কষে আমাকে ফাঁসিয়েছেন। আমাকেও মারার জন্য বাইরের ছেলে পাঠিয়েছিলেন।” আর অভিজিৎ বলেন, “আমি ওই কলেজের সঙ্গে যুক্ত নই। তাই কোনও চক্রান্ত করারও প্রশ্ন নেই।” |