শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নানা প্রকল্পে বিপুল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল দার্জিলিং জেলা সিপিএম। রবিবার শিলিগুড়িতে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ দাবি জানান, প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য এবং দলের দার্জিলিং জেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জীবেশ সরকার।
এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, “অশোকবাবুর কথার জবাব দিতে চাই না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নেতৃত্বে ও আমি এসজেডিএ’র দায়িত্ব নেওয়ার পর কী কাজ হচ্ছে তা সময় এবং মানুষ বলবে।” অশোকবাবুর অভিযোগ, দরপত্র না ডেকে কোটেশনের ভিত্তিতে বহু কোটি টাকার বরাত পছন্দের সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। কাওয়াখালি প্রকল্পে ২০০ একর জমি কেনার কথা ছিল যে সংস্থার তারা ৯০ কোটি টাকা দিয়েছিল। বাকি টাকা সময়ে না দেওয়ায় তাদের কাছে জমি দেওয়া হয়নি। তবে প্রকল্পের জন্য জমি নিতে যে টাকা ওই সংস্থা দিয়েছিল তা এসজেডিএ’র তহবিলে রাখা হয়েছিল। রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য চেয়ারম্যান থাকার সময় সে টাকা খরচ করে এসজেডিএ। অশোকবাবু এ দিন বলেন, “তৎকালীন চেয়ারম্যানকে বোর্ডের সদস্য রেখেই তদন্ত হচ্ছে। ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ারদের গ্রেফতার করে দুর্নীতির পিছনে যারা বড় মাথা ছিল তাদের আড়াল করা হচ্ছে। এই তদন্তে কারও আস্থা নেই। আমরা সিবিআই তদন্ত দাবি করছি।”
বামেদের অভিযোগ, এত কিছুর পরেও তৎকালীন চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক গোদালা কিরণ কুমারকে পুলিশ গ্রেফতার করা তো দূরে থাক জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেনি। তা নিয়েই তদন্তের কাজে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা। অশোকবাবু জানান, তৎকালীন বোর্ডের কাজ কর্ম নিয়ে বোর্ডের এক সদস্য ছাড়া কেউ প্রতিবাদ জানাননি। তৎকালীন বোর্ড সদস্যরা দায় এড়াতে পারেন না। এসজেডিএ-র সদস্যরা অনেকেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। |