গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং জিনএলএফ কর্মীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হল দার্জিলিং পাহাড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে কার্শিয়াং থানার খারেখোলায় এই সংঘর্ষে তিন জিএনএলএফ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন কার্শিয়াং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কার্শিয়াঙের জিটিএ সদস্য অনোজ থাপা-সহ ১২ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেছে জিএনএলএফ। তবে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “অভিযোগ মিথ্যা। জিএনএলএফ মাঝেমধ্যেই ওই ধরনের অভিযোগ তোলে। এর ভিত্তি নেই।”
দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “জিএলএলএফের কর্মীদের উপরে মোর্চার কর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের ধরা হবে।” পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন কার্শিয়াঙের তিনধারিয়া এবং গোরাবাড়িতে জিএনএলএফের দু’টি ঘরোয়া বৈঠক ছিল। তিনধারিয়ার বৈঠকটি ঠিকঠাক শেষ হয়। গোরাবাড়িতে বৈঠক শেষ হওয়ার মুখে মোর্চার কর্মীরা তাঁদের হুমকি দেয় বলে জিএনএলএফের অভিযোগ। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। জিএনএলএফের অভিযোগ, গোরাবাড়িতে বৈঠক সেরে পাঁচ জিএনএলএফ কর্মী গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন। আর একটি ছোট গাড়িতে কিছু মোর্চা সমর্থক তখন তাঁদের পিছু নেয়। খারেখোলার কাছে গাড়ি আটকে খুকরি, পাথর নিয়ে হামলা চালানো হয়। জখম হন চিমনির বাসিন্দা সাঙে রুম্বা ও সেন্ট মেরিজ এলাকার বাসিন্দা মহেশ সিংহ ও বিমল তামাং। সাঙের বক্তব্য, “মোর্চা কর্মীরা পাথর ছুড়তে থাকে। খুকরি দিয়েও গাড়ির উপরে হামলা চালায়। আটকাতে গিয়ে জখম হয়েছি।” জিএনএলএফের কার্শিয়াং শাখার মুখ্য আহ্বায়ক নিমা লামা বলেন, “বিনা প্ররোচনায় আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালানো হয়েছে। এক জিটিএ সদস্যের নেতৃত্ব হামলা হয়েছে।” যদিও মোর্চা নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কার্শিয়াঙের বিধায়ক মোর্চার রোহিত শর্মা বলেন, “আমি এমন ঘটনার কথা শুনিনি। জিএনএলএফের নিজেদের মধ্যে গোলমাল হতে পারে।”
পাহাড়ে জিএনএলএফ নতুন করে সংগঠন তৈরির চেষ্টা করার পরে চলতি বছরে এই নিয়ে চার দফায় জিএনএলএফ-মোর্চা সংঘর্ষ হল। তার মধ্যে শেষ ঘটনাটি হয়েছিল গত ১৫ মে মিরিকের সৌরিনিতে। সেখানে জিএনএলএফ কর্মীদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল মোর্চা সমর্থকদের উপরে। ওই ঘটনায় দু’পক্ষের একাধিক কর্মী, সমর্থক জখম হয়। দু’পক্ষ মিলিয়ে মোট ২৬ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। |