ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীরা
নিশ্চিন্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ে
রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ওঁদেরও যাবতীয় উৎকণ্ঠার অবসান ঘটাল। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ভোটের দফা পরিবর্তন হলেও আগের মূল বিজ্ঞপ্তিটিই বজায় থাকছে। ফলে কোনও জায়গাতেই নতুন করে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না। অর্থাৎ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা প্রার্থীদের নতুন করে ভোটের পরীক্ষায় বসতে হবে না।
তিন দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন গত মে মাসের শেষে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তাতে প্রার্থী হয়ে মোট ৬ হাজার ২৭৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন। কমিশনের কাছ থেকে শংসাপত্রও পেয়ে যান তাঁরা। তবু ভোট নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কমিশনের বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়ানোয় রক্তচাপ বেড়ে যায় বিজয়ীদের। তবে কি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেও হারাতে হবে বিজয়ীর শংসাপত্র?
গত প্রায় এক মাস ধরে এই প্রশ্নেই উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে খানাকুল থেকে ক্যানিং, সাগর সর্বত্র। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট বদলালে কি আবার নতুন করে ভোটে দাঁড়াতে হবে? নাকি নির্ঘণ্ট বদলালেও ভোটের বিজ্ঞপ্তি বাতিল না হলে বিজয়ী প্রার্থীর মর্যাদা থেকে যাবে? যদি অনির্দিষ্ট কালের জন্য ভোট স্থগিত হয়ে যায়, তা হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেও ভবিষ্যৎ কী হবে? শুক্রবার শেষ দুপুরে এই যাবতীয় প্রশ্নের জবাব মিলেছে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে পাঁচ দফা নির্বাচনের দিন ও গণনার তারিখ ঘোষণা করে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করতে হবে। কিন্তু তার জন্য কমিশনের জারি করা আগের মূল বিজ্ঞপ্তির কোনও পরিবর্তন হবে না। সরকারের এক মুখপাত্র জানান, এ দিনের রায়ের ভিত্তিতে তিন দফা ভোটের নির্ঘণ্ট বদলে পাঁচ দফা হলেও নতুন করে আর মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কোনও প্রশ্ন বা সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ইতিমধ্যেই যে সব প্রার্থী বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় জিতে শংসাপত্র পেয়েছেন, তাঁরা জয়ী হিসাবেই থাকবেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেও বলেন, “এর পর আর নতুন করে রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না।”
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা প্রার্থীদের সিংহভাগই শাসক দলের প্রার্থী। আদালতের নির্দেশ জানার পরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন তাঁরা। তবে আফশোস রয়ে গিয়েছে তাঁদের, যাঁরা ভোটে দাঁড়াবেন বলে মনস্থ করা সত্ত্বেও কিংবা দলের তরফে প্রার্থী হওয়ার ছাড়পত্র পেয়েও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। এ দিনের রায় ঘোষণার পরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না-পারা অনেকের বক্তব্য, আদালতের এই রায় আগে ঘোষণা হলে প্রথম থেকেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বাধ্য হত রাজ্য সরকার। তা হলে তাঁরা নির্বাচনে লড়তে পারতেন।
কমিশন সূত্রে খবর, মূলত শাসক দলের বাধায় অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। কমিশনের বক্তব্য, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে মনোনয়নপত্র জমা পড়ার শুরু থেকেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী চাওয়া হয়েছিল। রাজ্য তার ব্যবস্থা করতে পারেনি।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.