|
|
|
|
মীরাকে আবার উড়ো চিঠি, এ বার হুমকি প্রাণনাশের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আবার হুমকি-চিঠি পেলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। এই নিয়ে চতুর্থ। এ বার তাঁকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মীরাদেবী শুক্রবারই বিষয়টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র-সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র-সচিব। বাসুদেববাবু বলেন, “কলকাতা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কমিশনও এফআইআর করবে।”
মহাকরণ-সূত্রের খবর: চিঠির প্রেরক হিসেবে বাঁকুড়াবাসী জনৈক দিবাকর দত্তের নাম দেওয়া হয়েছে। কদর্য ভাষায় নির্বাচন কমিশনারকে আক্রমণের পাশাপাশি তাতে বলা হয়েছে, ‘আপনার প্রাণনাশের জন্য মাওবাদী স্কোয়াডের কিছু সদস্য কলকাতা পৌঁছে গিয়েছে।’ চিঠিটিতে বাঁকুড়ার এক ডাকঘরের সিলমোহরও রয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র-সূত্রে খবর।
এটা অবশ্য প্রথম নয়। পঞ্চায়েত-ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে একাধিক হুমকি-চিঠি পান মীরাদেবী। তবে সেগুলোয় প্রাণে মারার ধমকি ছিল না। মহাকরণ সূত্রের খবর: এর আগে পাওয়া তিনটি হুমকি-চিঠি মহাকরণে পাঠিয়েছিলেন মীরাদেবী। তার একটা লেখা ২৬ মার্চ তারিখে, প্রেরক হিসেবে ছিল এক আইনি সহায়তা সংস্থার তরফে জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের নাম, যিনি শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। চিঠির বক্তব্য ছিল: মীরাদেবী কংগ্রেস-সিপিএমের কথায় চলছেন, তিনি নিরপেক্ষ নন। না-শুধরোলে তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। আর একটি চিঠি আসে নয়াদিল্লি থেকে। অভিযোগ: মীরাদেবীর ছেলের সঙ্গে সিপিএমের যোগ রয়েছে, সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোয় আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। চিঠির প্রেরক রঞ্জন চর্তুবেদী নামে কোনও আইনজীবীর খোঁজ অবশ্য প্রশাসন পায়নি। মুম্বইয়ের এক অর্থলগ্নি সংস্থা থেকে মীরাদেবী নানা সুবিধা নিয়েছেন এমন অভিযোগ সংবলিত একটি লিফলেটও এপ্রিলের শেষে কমিশনে পৌঁছায়।
তৃতীয় চিঠিটি ১৯ মে’র। বেহালা পর্ণশ্রীর বাসিন্দা জনৈক রেবা মাইতির আইনজীবী হিসেবে শঙ্খশুভ্র দাসের নাম করে তা পাঠানো হয়। সেই ‘আইনি নোটিসের’ অভিযোগ: অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এক সিপিএম নেতা নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, এবং তাঁর মারফত মীরাদেবী ও কমিশন-সচিব তাপস রায় মোটা টাকা পেয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও প্রেরকের হদিস মেলেনি। প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে কমিশন ও সরকারের মধ্যে যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, চিঠিগুলো তারই ফলশ্রুতি।
|
পুরনো খবর: পরপর হুমকি চিঠি মীরাকে, বাড়ছে নিরাপত্তা |
|
|
|
|
|