|
|
|
|
নিশানায় তৃণমূল |
৫০০ প্রার্থী প্রত্যাহার করিয়েছে, তোপ মহিলা সমিতির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভয় দেখিয়ে দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় সিপিএমের ৩৮২ জন মহিলার প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করল গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিনতি ঘোষ শুক্রবার এই অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভয় দেখানোর পরেও যাঁরা প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করেননি, এখন তাঁদের ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অথবা বলা হচ্ছে, বিধবা করে দেওয়া হবে।” মিনতিদেবীর অভিযোগ, দক্ষিণবঙ্গে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ জন মহিলার প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করানো হয়েছে।
ভয় দেখানোর পরেও যাঁরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি, এখন তাঁদের সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে মিনতিদেবী বলেন, “এঁদের নামে লিফলেট ছাপিয়ে বলা হচ্ছে, সিপিএমের মহিলা প্রার্থী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।” মহিলা সমিতির অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে সব থেকে বেশি প্রার্থী প্রত্যাহার করানো হয়েছে বর্ধমান জেলায়। ১৭৫ জন। ওই জেলায় ৬৮ জন মহিলা প্রার্থী আক্রমণের শিকার হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় ৪১, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪০, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৯ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪৫ জন প্রার্থীকে ভয় দেখিয়ে প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করানো হয়েছে। সিপিএম নেতা মজিদ মাস্টারের স্ত্রী আসফ নুর বেগমের সমর্থনে বৃহস্পতিবার শাসনে প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রেখা গোস্বামী, প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তীর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তী, অমিতাভ নন্দীর স্ত্রী তথা বিধাননগর পুরসভার বিরোধী নেত্রী ইলা নন্দী প্রমুখ। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে বলেন, আক্রমণকারীরা সকলেই পুরুষ। তারা লাঠি, লোহার রড, বাঁশ, মাইকের চোঙ দিয়ে আঘাত করেছে। সংগঠনের নেত্রী সোমা দাসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়ির চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মারধরের পাশপাশি মহিলাদের মোবাইল ফোন এবং সোনার গয়নাও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রমলাদেবীর অভিযোগ, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক জন মহিলা। অথচ তৃণমূলের পুরুষ দুষ্কৃতীরা দলের নেতাদের প্ররোচনাতেই এই ধরনের হামলা করছে।” ঘটনাস্থলে কোনও মহিলা তৃণমূল কর্মী ছিলেন না তা জানিয়ে রমলাদেবী বলেন, “রাজ্যের এক মন্ত্রী প্রকাশ্যেই বলছেন, সিপিএম দেখলে পিটিয়ে মারো। এই রকম প্ররোচনামূলক প্রচারের পরিণামেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।” |
|
|
|
|
|