জলপাইগুড়ি জেলার যৌনকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষাকারী কর্মীদের তিনদিনের কর্মশালা আয়োজিত হল। মেটেলি ব্লকের ধূপঝোরায় জেলা এডস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সহযোগিতায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালনায় তিনদিনের কর্মশালা শেষ হল। বুধবার তিনদিনের এই কর্মশালায় প্রশিক্ষকরা মূলত যেভাবে সংযোগ কর্মীদের কাজ ভাগ করে করার ওপরে জোর দিলেন। সেগুলি হল, যৌন কর্মীদের খুঁজে বের করে তাদের সচেতন করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে এসে এইচআইভি পরীক্ষা করাতে হবে। দ্বিতীয়ত, এডস ধরা পড়লে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করাতেই হবে। তবে যৌনকর্মীদের সার্বিক সচেতনতা একেবারে কম থাকায় ওই প্রক্রিয়া গোড়াতেই ধাক্কা খাচ্ছে বলে উদ্বিগ্ন সংযোগ কর্মীরা।
তিন দিনের আলোচনায় বেশ কিছু সমস্যার কথাও উঠে এসেছে। যেমন, দেহব্যবসার সাথে যুক্ত অধিকাংশ যৌনকর্মীদের ব্যবসা চালানোর কোনও স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় তাদের খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি, খুঁজে পেলেও ব্যবসা ছেড়ে হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করাবার তাগিদও খুব কম যৌনকর্মীদেরই রয়েছে। সর্বোপরি, এডস ধরা পড়লে সেখানেও হাসপাতালের ওষুধ না খেয়ে ঝাঁড়ফুকের প্রতিও আসক্তি অনেক বেশি বলে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে।
তিন বছর ধরে জেলার ৭২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির ৪০ জন কাজ করছেন। তাঁরা ২৭৬ জন এডস আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন। সংস্থার জলপাইগুড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মান্না মুখোপাধ্যায় ও প্রশিক্ষক সন্তু চৌধুরী জানান, ভাসমান যৌনকর্মীদের চিহ্নিত করা বেশি সমস্যা।
বুধবার সমাপ্তি দিবসে উপস্থিত হন জলপাইগুড়ি জেলা এডস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রকল্প ম্যানেজার মহম্মদ পারভেজ রিয়াজ ও তত্ত্বাবধায়ক প্রদীপ মন্ডল। তাঁরাও এদিন কর্মীদের যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। |