সাত বছরের এক প্রতিবন্ধী বালিকাকে খেলার আসর থেকে জমিতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে উঠল নবম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার হেতিয়া এলাকায়। অন্য দিকে, লাগোয়া কোতুলপুর থানার মদনমোহনপুর অঞ্চলে এক বধূকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। দু’টি ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের বুধবার বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেলাহাজত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বালিকা ও বধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাড়ায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল সাত বছরের ওই বালিকা। তার দৃষ্টিশক্তি কম। হঠাৎ পাশের গ্রামের এক নবম শ্রেণির পড়ুয়া এসে ওই বালিকাকে কিছুটা দূরে জমিতে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সেখানে ওই কিশোর ওই বালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বালিকার সঙ্গে যারা খেলছিল, তারা মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানায়। এরপরেই বাড়ির লোকেরা খোঁজ করতে শুরু করে। পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা খোঁজ করতে করতে জমিতে গিয়ে পৌঁছালে ওই কিশোর দৌড়ে পালায়। ঘটনাস্থলে তাঁরা গিয়ে দেখেন, ওই বালিকা আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রাতেই তাঁরা থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওই বালিকাকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতেই ওই কিশোরকে ধরা হয়।
কোতুলপুরের ওই বধূর অভিযোগ, স্বামী বাইরে থাকার সুযোগে সোমবার রাতে তাঁর বাড়িতে মাধ্যমিকের এক পড়ুয়া ও তার সম্পর্কিত এক দাদা হানা দেয়। তারা জোর করে বাড়িতে ঢুকে ওই বধূকে গণধর্ষণ করে। মঙ্গলবার ওই মহিলা দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই রাতেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। |