স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠল ইন্দাসের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ইন্দাস থানার কুশমুড়ি গ্রামের ঘটনা। বুধবার সকালে ওই গ্রামে বাপের বাড়িতে আদরি বেগম (২৫) ও তাঁর দু’বছরের মেয়ে আমরিন খাতুনের দেহ উদ্ধার হয়। ঘরের মেঝেয় পাশাপাশি পড়েছিল মা-মেয়ের নিথর দেহ। এ দিন দুপুরে আদরির বাবা আহম্মদ হোসেন জামাই শেখ সফিকের বিরুদ্ধে ইন্দাস থানায় তাঁর মেয়ে ও নাতনিকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক সফিক। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিক তদন্তে তাদের অনুমান ওই বধূকে গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। শিশুটিকে মারা হয়েছে গলা টিপে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে ইন্দাসের কুমনা গ্রামের বাসিন্দা শেখ সফিকের সঙ্গে আদরির বিয়ে হয়। তাঁদের ছ’বছরের এক ছেলে ও দু’বছরের ওই মেয়ে ছিল। আহম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের সাংসারিক নানা কারণে বছর খানেক ধরে অশান্তি চলছিল। তার জেরেই মাস দেড়েক আগে আদরি শ্বশুরবাড়ি থেকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন। তাঁর কথায়, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামাই আমার বাড়িতে আসে। জানিয়েছিল মেয়ে ও নাতি-নাতনিকে নিয়ে বাড়ি যাবে। মেয়েও রাজি হয়েছিল। রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে নাতনিকে নিয়ে মেয়ে ও জামাই একটি ঘরে শুয়েছিল। আমরা অন্য ঘরে ছিলাম। সকালে ঘুম ভেঙে দেখি ওই ঘরের দরজা বাইরে থেকে শিকল তোলা রয়েছে। শিকল খুলে দেখি মেঝের উপর মেয়ে ও নাতনি পড়ে রয়েছে। মেয়ের গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো ছিল। জামাইকে আর দেখতে পাইনি।” তাঁর অভিযোগ, সাংসারিক অশান্তির জেরে মেয়ে ও নাতনিকে জামাই খুন করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর কারণ জানতে দেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। |