কয়েক সপ্তাহ আগে অতিবৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে সেতুর একাংশ। বসে গিয়েছে রাস্তা। আর এই ভাঙা সেতুর উপর দিয়েই কোনও রকমে ছোট গাড়ি যাতায়াত করছে। তবে বাস ও বড় গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
রানিবাঁধ ব্লকের বনশোল জোড়ের উপরে অম্বিকানগর ও আকখুটার মধ্যে সংযোগকারী প্রায় ৫০ ফুট দীর্ঘ সেতুটি ভেঙে পড়ায় আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা তাই সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু তার পরে এতদিনেও প্রশাসন সেতুটি সংস্কারের কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা অবিলম্বে ওই সেতু সংস্কারের কাজ শুরু করার দাবিতে সরব হয়েছেন।
রানিবাঁধ ব্লকের অম্বিকানগর পঞ্চায়েত এলাকার বনশোল গ্রামের কাছে, আকখুটা-অম্বিকানগর রাস্তায় একটি জোড়ের উপরে এই সেতু। অম্বিকানগর থেকে রানিবাঁধ যাওয়ার এটাই সোজা রাস্তা। স্থানীয় বনশোল, সিমলি, জয়নগর, বড়কোল, অম্বিকানগর গ্রামের বাসিন্দারা ব্লক সদর রানিবাঁধ যাওয়ার জন্য এই রাস্তাই ব্যবহার করেন। |
বনশোল জোড়ের উপরে অম্বিকানগর ও আকখুটার মধ্যে
সংযোগকারী এই সেতুটি ভেঙে পড়েছে। ছবি: দেবব্রত দাস |
তাঁরা জানান, মে মাসের শেষ সপ্তাহে বৃষ্টিতে ওই সেতুর একাংশ হঠাৎ ভেঙে পড়ে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সেতুর আরও কিছুটা ধসে যায়। সেতুর প্রায় ১০ ফুট বসে যায়। এরপরেই ওই রাস্তায় বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা সুদেব মাহাতো, সিমলি গ্রামের বুধন মাহাতোরা বলেন, “সেতুটি ক্রমশ ভাঙছে। এখন ছোট গাড়ি যাতায়াত করলেও ওই রাস্তায় হাতেগোনা যে পাঁচটি বাস চলত তা এখন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে সাধারণ বাস যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন।” বাসকর্মীরা জানিয়েছেন, ভাঙা সেতুর উপর দিয়ে যাত্রীবাহী বাস নিয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আপাতত ওই রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, এত দিন ধরে ওই সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে রয়েছে। বাস না চলায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও সেতু মেরামতির ব্যাপারে প্রশাসন চরম উদাসীন। অম্বিকানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান তৃণমূলের দিলীপ মাহাতো বলেন, “বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এলাকার মানুষের প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে। অবিলম্বে ওই সেতু মেরামতির জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।” রানিবাঁধের বিডিও তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ওই সেতু সংস্কারের কাজ শুরু করা যায়নি। আপতকালীন ব্যবস্থা হিসাবে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে ওই সেতু মেরামতির কাজ যাতে শীঘ্রই শুরু করা যায়, সে জন্য জেলাশাসকের কাছে বিশেষ অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি মিললেই ওই সেতু মেরামতির কাজ শুরু করা হবে।” |