নির্ধারিত ঘোষণা মেনে এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন ঝুলে আছে। ভোট পিছিয়ে গেলে বা বানচাল হয়ে গেলে তার দায় কার, তা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বুধবার বিকেলে গাইঘাটার চাঁদপাড়ায় বামফ্রন্ট প্রার্থীদের সমর্থনে কর্মিসভায় এসে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেব অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত ভোট আটকানোর চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্য, ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনই শেষ কথা বলবে। প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, এখন পঞ্চায়েত ভোট না হলেও ৬ মাস পরে হবেই। তখন হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টও আটকাতে পারবে না।
হুগলির পাণ্ডুয়ায় এ দিন সভা করতে এসে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চান না ভোট হোক। তিনি চান, ওঁর দল ছাড়া কেউ থাকবে না।” ভোট নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ছেলেখেলা চলছে বলেও সমালোচনা করেন সূর্যবাবু। |
|
|
যুযুধান। ব্রাত্য বসু ও গৌতম দেব। —নিজস্ব চিত্র। |
|
অন্য দিকে, এ দিনই হাসনাবাদে এসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন, সিপিএম ও কংগ্রেস। ওরা যতই চেষ্টা করুক না কেন, রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে।” রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট সময়েই ভোট করতে চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি। জানান, সে জন্যই সর্বত্র ভোটের প্রচারেও যাচ্ছেন তাঁদের নেতা-নেত্রীরা। এ দিন গোপালনগরে সভা করেন সাংসদ তাপস পাল।
গৌতমবাবু বলেন, “এই সভা দু’তারিখের নির্বাচনের জন্য। কিন্তু এখনই বলা মুশকিল যে ওই দিনই ভোট হবে। ভোট পিছনোর সম্ভাবনা প্রবল।” প্রাক্তন মন্ত্রীর অভিযোগ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট আটকাতে কোমর বেঁধে নেমেছেন। কিন্তু ভোটে নির্বাচন কমিশনই শেষ কথা বলবে। কিন্তু মমতা তাঁদের নিয়ে ফুটবল খেলছেন। ভোটে হিংসা হলে দায় কার?” এ দিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গৌতমবাবু। তিনি বলেন, “উনি এক জায়গায় দাঁড়াতে পারেন না। মঞ্চে যাত্রা পার্টিদের মতো বক্তৃতা দেন।” তাঁর সংযোজন, “মমতা দু’বছরেই কলে পড়েছেন। এখন বুঝতে পারছেন মন্ত্রিত্বের মজা।” |