এক বধূকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল শাশুড়ি-সহ তিন জনকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে সন্দেশখালির কানমারি নলপাড়ার শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যু হয় অনিন্দিতা পরামাণিকের (২১)। গোসাবার মথুরাখণ্ড গ্রামের অনিন্দিতার বিয়ে হয়েছিল মাস পাঁচেক আগে। ঘটনায় পরে মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে বধূর স্বামী গোবিন্দ মণ্ডল ও শাশুড়ি টগর-সহ শ্বশুরবাড়ির ৯ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ, বিয়েতে চাহিদা মতো যৌতুক দেওয়া সত্ত্বেও আরও টাকার জন্য অনিন্দিতাদেবীর উপরে অত্যাচার চালানো হত। সহ্য করতে না পারে অনিন্দিতা কিছু দিনের মধ্যে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। আরও ৫০ হাজার টাকা-সহ তাঁকে শ্বশুরবাড়ি ফেরত পাঠানো হয়। তাতেও অবশ্য শেষ রক্ষা হল না।
অনিন্দিতার বাবা আদিত্য পরামাণিক জানিয়েছেন, মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, মেয়ে সোমবার রাতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাঁর দাবি, পুলিশ আসার আগেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন দেহ নামিয়ে রেখেছিল। |
ওই বধূর বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর টগর মণ্ডল, বাসন্তী মণ্ডল ও বসুমতী বারুইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মঙ্গলবার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়, ঘটনাটি আত্মহত্যা না খুন।”
অন্য একটি ঘটনায় বচসার জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতার এক আত্মীয়কেও। অভিযুক্ত আরেক জনের খোঁজ চলছে।
পুলিশ জানায়, মৃতার নাম পূর্ণিমা গুড়িয়া (২০)। বাড়ি হিঙ্গলগঞ্জের পূর্ব মামুদপুর গ্রামে। চার বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় পেশায় দর্জি গোপাল গুড়িয়ার। দু’বছরের একটি ছেলেও রয়েছে তাঁদের। মৃতার পরিবারের দাবি, অতিরিক্ত পণের দাবিতে বিয়ের পর থেকেই পূর্ণিমার উপরে অত্যাচার করতেন স্বামী। একবার পূর্ণিমার মাথাও ফাটিয়েও দেওয়া হয়েছিল। সে কথা জানানো হয়েছিল থানায়।
গত শনিবার সকালে বিড়ি বাঁধার সময়ে ভাসুর নিরাপদ গুড়িয়ার সঙ্গে বচসা বাধে পূর্ণিমার। মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তরুণী। তাঁকে পাঠানো হয় ন’নম্বর সান্ডেলের বিল হাসপাতালে। কিন্তু তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে পূর্ণিমার। হাসপাতালে দেহ ফেলে পালায় শ্বশুরবাড়ির লোক। রবিবার মৃতার মা থানায় অভিযোগ করেন। গ্রেফতার করা হয় পূর্ণিমার স্বামী ও জা মমতাকে। ধৃতের পরিবারের অবশ্য দাবি, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল পূর্ণিমা। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |