গ্রামে পুলিশের টহলদারি। —নিজস্ব চিত্র। |
গ্রামে পুলিশ ফাঁড়ি থাকা সত্ত্বেও ঘণ্টা তিনেক ধরে এই বোমার তাণ্ডব চলে। এ দিনের ঘটনায় সিপিএমের অভিযোগের তির পুলিশ ও শাসকদলের দিকে। দলের জেলা কমিটির সদস্য জ্যোতিরুপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের আহত সমর্থকরা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতেই তৃণমূলের লোকজন বুধবার সকালে এলাকায় বোমাবাজি শুরু করে। কর্মীরা ভয়ে এলাকাছাড়া। এরই মধ্যে শাসকদলের সঙ্গে পুলিশ আমাদের সমর্থকদের বাড়ির মহিলাদের মারধর করে। পুলিশি হানার শিকার হন প্রার্থী সাদমুন বিবির বাড়ির মেয়েরাও। সিপিএম কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ এক রাউন্ড গুলিও ছোঁড়ে।” সাদমুন বিবির বক্তব্য, “বাড়িতে ঢুকে পুলিশ আমার জা মানসুরা বিবিকে পিটিয়েছে।” তৃণমূলের বন্যেশ্বর পঞ্চায়েতের প্রচার কমিটির সভাপতি আলতাফ হোসেনের বক্তব্য, “হার নিশ্চিত জেনেই সিপিএম আমাদের সমর্থকদের উপর আক্রমণ করেছে। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় আমাদের পাঁচ কর্মী জখম হয়েছেন।” যদিও পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা সন্ত্রাসের নালিশ উড়িয়ে দিয়ে জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “আগের গ্রাম্য বিবাদের জেরেই এ দিন বোমাবাজি হয়েছে। পরে তা রাজনীতির আকার নেয়। গ্রামে পুলিশ টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ কাউকে মারেনি। গুলিও ছোঁড়েনি।” |