|
|
|
|
পিছিয়ে গেলেও ভোট হবেই, প্রদীপ
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক ও কাঁথি |
নির্বাচন কমিশন বাধ্য হয়েই সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছে বলে দলীয় কর্মিসভায় মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার তমলুকের নারায়ণদাঁড়ির শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে কংগ্রেসের কর্মিসভা করেন প্রদীপবাবু। সভায় তিন বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে নির্বাচন কমিশনকে বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কমিশনের ক্ষমতাকে প্রতিনিয়ত সরকার চ্যালেঞ্জ করায় গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটাই ব্যাহত হতে বসেছে।” পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জটিলতার মধ্যেও এ দিন সভায় প্রদীপবাবু কর্মীদের প্রচার থেকে সরে না আসার পরামর্শ দেন। কর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ভোটের দিন হয়তো পিছোতে পারে কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন হবেই। তাই আপনারা কোনও মতেই লড়াইয়ের ময়দান ছাড়বেন না।” তমলুকের সভায় প্রদীপবাবু বলেন, “তৃণমূল দুর্বল ও কাপুরুষ বলেই হাতে লাঠি নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু আমরা লড়াই করতে জানি। এই নির্বাচনেও আমরা লড়াই করে বহু আসনে জয়লাভ করব। |
|
তমলুকে কর্মিসভায় প্রদীপ ভট্টাচার্য।—নিজস্ব চিত্র। |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী না পাওয়ার কারণ নিয়ে প্রদীপবাবুর দাবি, ছত্তীশগড় সহ কয়েকটি রাজ্যে মাওবাদী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে ও উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যস্ত রয়েছে। ফলে কেন্দ্রের পক্ষে বাহিনী দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ দিনের সভায় শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের তৃণমূল নেতা রণজিৎ মাইতি কিছু দলীয় সমর্থক-সহ আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন। এ ছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা মায়া ঘোষ, সম্পাদিকা উর্বশী ভট্টাচার্য, সম্পাদক দীপঙ্কর সাহু প্রমুখ। এদিনই বিকেলে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের হিঞ্চিতে জেলা পরিষদ আসনের কংগ্রেস প্রার্থী উত্তম বারিকের সমর্থনে পথসভা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। প্রদীপবাবু বলেন, “উত্তম যাতে ভোটে অংশ নিতে না পারেন, তার জন্য শাসক তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। কখনও পুলিশ হেফাজতে আবার কখনও জেলহাজতে আটকে রেখে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই সভাতেও মায়াদেবী, দীপঙ্করবাবু, উর্বশীদেবী বক্তব্য রাখেন। সভার আগে হাতিশাল বাজার থেকে হিঞ্চি পর্যন্ত এক পদযাত্রায় প্রদীপবাবু যোগ দেন। পদযাত্রায় জেলা কংগ্রেসের দুই সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডা, দেবাশিস পাহাড়ি ও মহকুমা সভাপতি গঙ্গারাম মিশ্র উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|