মোড় ঘোরাতে পারে যে পাঁচ লড়াই
|
স্পেনের দুই প্রান্ত দিয়ে আলবা, পেদ্রোর আক্রমণ: দেল বস্কির লেফট ব্যাক ইওর্দি আলবা গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই ওভারল্যাপে গিয়ে বিপক্ষের নাভিশ্বাস তুলছে। রাইট উইঙ্গার পেদ্রোও চমৎকার ডাউন দ্য মিডল ঢুকে আসে। ওদের আটকানোর দায়িত্ব নিক মাজ্জো আর জিয়াচেরিনি। আলবা উঠলে, ফাঁকা জায়গা কাজে লাগাবে মাজ্জো। আর পেদ্রোকে মার্ক করুক জিয়াচেরিনি।
বুঁফো, পির্লো বনাম তিকিতাকা: অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, দেল বস্কির দল বিপক্ষকে প্রেসিং ফুটবলে চেপে ধরে। প্রতিপক্ষকে উঠতেই দেয় না। এর ওষুধআন্দ্রে পির্লো। ওর ছোট ছোট পাস, কাউন্টার অ্যাটাক, ফ্রিকিক কিন্তু ভোগাবে দেল বস্কিকে। বুঁফোকে দেখতে হবে যাতে ব্রাজিল ম্যাচের ভুল আর না হয়। |
|
|
প্র্যাক্টিসে পির্লো ও তোরেস। |
|
ব্রাজিলের গরমে স্পেনের ক্লান্তি: কনফেড কাপে লা রোখাদের এই একটা দুর্বলতা দেখছি। দেল বস্কি তো সাংবাদিক সম্মেলনেও কথাটা বলেছেন। সিজার প্রান্দেলির মতো ধুরন্ধর কোচ নিশ্চয়ই ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন। ইতালির দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাক সেক্ষেত্রে স্পেনের চিন্তার কারণ হতে পারে।
বালোতেলির অভাব মেটানো: সে রকম যোগ্য লোক দেখছি না ইতালি টিমে। এতে রামোসদের চাপ কম। দেখতে চাই আজ গিলার্দিনো কী করে।
ইতালির রক্ষণ বনাম স্পেনের পাসের ঢেউ: ম্যাচের অন্যতম দ্রষ্টব্য। আমরা জানি, কাতানেচ্চিও সিস্টেমের কথা। প্রান্দেলি যে সিস্টেমের সঙ্গে আক্রমণকেও মিলিয়েছেন। এটা ঠিক যে আজ ইতালি ডিফেন্সে মালদিনি বা নেস্তা নেই। কিন্তু তা-ই বলে ইউরো ফাইনালের মতো স্পেনের কাছে রোজ চার গোল খাবে সেটাও হওয়াটা কঠিন। ইন্টারনেটে দেখছিলাম ফর্মেশন পাল্টাতে পারেন সিজার প্রান্দেলি। বালোতেলি না থাকায় ৪-৩-২-১-এর বদলে ৩-৫-২। ডিফেন্সের তিন জন জুভেন্তাসে খেলে। অর্থাৎ, বোঝাপড়াটা ভাল।
|
যুযুধান |
স্থান: ফোর্তালোজার এস্তাদিও কাস্তিলো।
খেলা শুরু: ভারতীয় সময় রাত ১২.৩০।
শেষ সাক্ষাৎ: ২ জুলাই, ২০১২। ইউরো কাপ
ফাইনালের
সেই ম্যাচে স্পেন জিতেছিল ৪-০।
যদিও
এ পর্যন্ত দু’দল
মুখোমুখি হয়েছে ৩১ বার। তার মধ্যে
ইতালি
জিতেছে ১০ বার। স্পেন ৯ বার। |
শেষ পাঁচ ম্যাচে
স্পেন: জয় পাঁচ।
ইতালি: জয়-২, ড্র-২, হার-১।
কনফেডারেশন কাপে
স্পেন: জয়-৩। স্বপক্ষে গোল-১৫, বিপক্ষে গোল-১।
ইতালি: জয়-২, হার-১। স্বপক্ষে গোল-৮, বিপক্ষে গোল-৮। |
সম্ভাব্য দল ও ফর্মেশন |
স্পেন (৪-৩-৩): কাসিয়াস, আর্বেলোয়া, রামোস, পিকে, আলবা, জাভি, বুস্কেতস, ফাব্রেগাস, ইনিয়েস্তা, তোরেস, পেদ্রো। |
ইতালি (৩-৫-২): বুঁফো, চিয়ালিনি, বনুচ্চি, বারজাগলি, জিয়াচেরিনি, ডি’রোসি, পির্লো, মারশিসিও, মাজ্জো, গিলার্দিনো, জিওভিঙ্কো।
|
উরুগুয়েকে ২-১ হারিয়ে ফাইনালে গেল ব্রাজিল |
|