জুতোর তলাটা গাঢ় কমলা রঙের। ব্যস, এতেই রক্তচক্ষু দেখাতে শুরু করলেন এসডব্লু১৯-এর কর্তারা।
রজার ফেডেরারের কাছে বার্তা পৌঁছল, এমন ক্যাটক্যাটে রঙওয়ালা জুতো পায়ে অল ইংল্যান্ড ক্লাবের কোর্টে কিছুতেই নামা যাবে না।
প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে এই জুতোই পরে নেমেছিলেন ফেডেরার, যার ওপরটা সাদা হলেও শুকতলা একেবারে গাঢ় কমলা এবং তা বেশ চোখে পড়ার মতো। এখানেই আপত্তি উইম্বলডন কর্তাদের। শুধু এই গ্র্যান্ড স্লামেই খেলোয়াড়দের পোশাক নিয়ে এমন নির্দেশিকা রয়েছে, যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে বহুবার। |
ফেডেরার: সোমবারের কমলা জুতো বদলে গেল সাদায়। |
আন্দ্রে আগাসি তাঁর পেশাদার টেনিস জীবনের প্রথম দিকে তিন বছর (১৯৮৮—৯০) উইম্বলডনের পথ মাড়াননি সাদা পোশাকের এই কঠোর নিয়মের প্রতিবাদে। এ বার ফেডেরার-কেও তার কোপে পড়তে হল! পাশাপাশি কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন, এই ভাবে জুতো বদলালে ফেডেরারের সমস্যা হতে পারে। ফেডেরারের দেশের রেডিও সাংবাদিক হেলেন স্কট স্মিথ যুক্তি দিয়েছেন, জুতো বদলালে ফেডেরারের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তেই পারে। কারণ, ঘাসের কোর্টে প্লেয়ারের সঠিক ‘মুভমেন্ট’-এর জন্য জুতোর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এবং ফেডেরার উইম্বলডন প্রস্তুতি সেরেছিলেন এই জুতো পরেই। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে সেরেনা উইলিয়ামসের জুতো নিয়েও। সেরেনার জুতোতেও কমলা রংয়ের ছোঁয়া। প্রথম ম্যাচে সেই জুতো পরেই নেমেছিলেন সেরেনা। কাল তাঁর দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ। সেরেনার জুতোর উপরও কি একই রকম নিষেধাজ্ঞা জারি হবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে উইম্বলডনে। |
এমনিতেই ঘাসের কোর্ট পিচ্ছিল হয় বলে ক্লে বা হার্ডকোর্টের চেয়ে এখানে দৌড়নো একটু বেশিই ঝুঁকিপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে জুতোর ওপর অনেকটাই নির্ভর করতে হয়। যেমন ক্রিকেট ও ফুটবল মাঠে জুতোর তলায় স্পাইক লাগানো হয়। টেনিস কোর্টে তা সম্ভব নয়। তাই কোর্টের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়, স্পাইকের এমন বিকল্প গ্রিপ উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে জুতো প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। নাইকির এই নতুন রেঞ্জের জুতো তেমনই, দাবি সংস্থার কর্তাদের।
উইম্বলডনের আচরণবিধিতে অবশ্য স্পষ্ট লেখা, “প্রায় সম্পুর্ণ ভাবেই সাদা পোশাকে কোর্টে নামতে হবে”। প্রায় লেখার কারণ, বড়জোর রঙিন স্ট্রাইপ বা লাইন থাকতে পারে পোশাকে।
দেখা যাচ্ছে, ফেডেরারের জুতো আইনভঙ্গের আওতায় পড়ে গেল! |