অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল এডওয়ার্ড স্নোডেনের। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, মস্কোর একটি বিমানবন্দরের ‘ট্রানজিট জোনে’ রয়েছেন স্নোডেন। রাশিয়া তাঁকে প্রত্যর্পণ করবে না।
আমেরিকায় ফোন ও ইন্টারনেটে আড়িপাতার বিপুল বন্দোবস্তের তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন স্নোডেন। তার পর থেকেই মার্কিন গোয়েন্দাদের চোখে ‘পলাতক অপরাধী’র তকমা পেয়েছেন গুপ্তচর সংস্থা এনএসএ ও সিআইএ-র এই প্রাক্তন কর্মী। কিন্তু, তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন উইকিলিকস ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।
তথ্য ফাঁসের সময়ে হংকংয়ের হোটেলে ছিলেন স্নোডেন। বিতর্ক শুরু হওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অ্যালবার্ট ও অন্য কৌঁসুলিরা। জানিয়ে দেন, হংকং সরকার চায় তিনি চলেই যান। তা না হলে হয়তো মার্কিন চাপে তাঁকে আটক করা হতে পারে। কম্পিউটার ছাড়া জেলে আটক থাকার সম্ভাবনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্নোডেন। দ্রুত মস্কো যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হংকং-এর হোটেল থেকে সংবাদমাধ্যমের নজর এড়িয়ে পালান তিনি।
মস্কো থেকেই কিউবা হয়ে দক্ষিণ আমেরিকার কোনও দেশে যাওয়ার কথা ছিল স্নোডেনের। কিন্তু, গত কাল কিউবাগামী বিমানে তাঁর নামে সংরক্ষিত আসন খালি ছিল। ফলে, তিনি কোথায় গিয়েছেন তা নিয়ে ফের ধোঁয়াশা তৈরি হয়। তবে অ্যাসাঞ্জ জানিয়ে দেন, স্নোডেন ঠিকই আছেন।
স্নোডেন রাশিয়ায় থাকলে তাঁকে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়া উচিত বলে গতকাল জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। আজ রুশ সরকার কড়া ভাষায় জানিয়ে দেয়, স্নোডেন রাশিয়ার মাটিতে পা রাখেননি। তাঁর সঙ্গে রুশ সরকারের কোনও যোগ নেই। কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ‘ট্রানজিট জোন’-এ থাকলে সরকারি ভাবে রাশিয়ার মাটিতে পা দেওয়ার প্রশ্ন নেই। ফলে, সহজেই স্নোডেনের বিষয়ে দায়িত্ব এড়াতে পারবে মস্কো।
স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়া হবে বলেই আজ ইঙ্গিত দিয়েছেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট র্যাফায়েল করিয়া। তাঁর মতে, স্নোডেনকে আশ্রয় না দিলে একটি দেশের কিছু ক্ষমতাবান মানুষ খুশি হবেন। কিন্তু, বিশ্বের সাধারণ মানুষের অমর্যাদা করা হবে।
|