কিউবার বিমানে আসন খালি
উধাও স্নোডেন, প্রশ্ন কোথায়
ফের উধাও এডওয়ার্ড স্নোডেন। রাশিয়া থেকে কিউবা যাওয়ার বিমানে তাঁর আসন শূন্য। তিনি এখন ঠিক কোথায় তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। তবে উইকিলিকস ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ জানিয়েছেন, স্নোডেন সুস্থই আছেন।
ফোন ও ইন্টারনেটে মার্কিন গোয়েন্দাদের নজরদারি নিয়ে গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন সে দেশেরই গুপ্তচর সংস্থা এনএসএ-র প্রাক্তন কর্মী স্নোডেন। তার পর থেকেই তাঁকে খুঁজছে মার্কিন সরকার। তথ্য ফাঁসের সময়ে হংকংয়ের একটি হোটেলে ছিলেন স্নোডেন। পরে সেই হোটেল থেকে উধাও হয়ে যান তিনি।
স্নোডেনের পাশে দাঁড়ান উইকিলিকস ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। পরে জানা যায়, উইকিলিকস কর্তৃপক্ষের সাহায্যেই গত কাল হংকং থেকে মস্কো চলে গিয়েছেন স্নোডেন। মস্কো থেকে কিউবা হয়ে যাবেন ভেনেজুয়েলা বা ইকুয়েডরের মতো কোনও দেশে।
শোনা যাচ্ছিল, আজ দুপুরে এরোফ্লোটের এসইউ১৫০ নম্বর বিমানে কিউবা যাওয়ার কথা ছিল স্নোডেনের। কিন্তু সেই বিমান মস্কো ছাড়ার পরে এক বিমানকর্মী জানান, স্নোডেনের আসন খালি ছিল। তা অন্য এক যাত্রীকে দেওয়া হয়েছে। ফলে, স্নোডেনকে নিয়ে ফের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে পরে অ্যাসাঞ্জ জানান, স্নোডেন ও তাঁর সঙ্গী উইকিলিকস কৌঁসুলি সারা হ্যারিসন সুস্থই আছেন। তবে মার্কিন প্রশাসনের হুমকির মুখে তাঁরা কোন দেশে আছেন তা জানানো সম্ভব নয়।
মার্কিন গোপন তথ্য ফাঁস করার পরে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় পেয়েছেন অ্যাসাঞ্জ নিজেই। সুইডেনে প্রত্যর্পণ এড়াতে এখনও সেখানেই আছেন তিনি। স্নোডেনকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইকুয়েডর । ওয়াশিংটনের অস্বস্তি আরও বাড়াতেই ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডরের মতো মার্কিন-বিরোধী দেশগুলি অ্যাসাঞ্জ ও স্নোডেনকে নিয়ে উৎসাহ দেখাচ্ছে বলে মত অনেকের।
ইতিমধ্যেই আদালতে স্নোডেনের বিরুদ্ধে চরবৃত্তি ও তথ্য পাচারের অভিযোগ এনেছে মার্কিন সরকার। তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য নানা দেশকে চাপও দিচ্ছে তারা। ফলে, হংকং থেকে মস্কো যাওয়ার সময়ে স্নোডেনের গতিবিধি গোপন রাখা হয়েছিল।
মস্কোতেও স্নোডেনকে দেখতে পাননি বিদেশি সাংবাদিকরা। রুশ সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি, মস্কোর শেরেমেটিয়েভো বিমানবন্দরের মধ্যেই ‘হোটেল ক্যাপসুল’-এ ছিলেন তিনি।
কিন্তু, স্নোডেনের রাশিয়া যাওয়ার কথা শুনেই মস্কোর উপরে চাপ দিতে শুরু করে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি জানিয়ে দেন, মস্কোর উচিত স্নোডেনকে আটকানো। হোয়াইট হাউসের দাবি, প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠালেও স্নোডেনকে আটকাননি হংকংয়ের চিনা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি ‘উদ্বেগের’।
ফলে আপাতত স্নোডেনকে নিয়ে সরগরম আন্তর্জাতিক রাজনীতি।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.