দলের প্রথম সারির নেত্রী বৃন্দা কারাটকে দিয়ে এবার ধূপগুড়ির বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ছোট সভা করানোয় জোর দিল সিপিএম। দু’দিনে তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় পলিটব্যুরোর সদস্যা নেত্রীকে দিয়ে তিনটি সভা করানো হবে। মঙ্গলবার বিমানে বাগডোগরায় নেমে বৃন্দাদেবী মাগুরমারি পঞ্চায়েতের কালিরহাটের সমাজকল্যাণ পাঠাগারের মাঠে সভা করেন। আজ, বুধবার ধূপগুড়ির ঠাকুরপাঠ ও বারোঘরিয়াতে দুটি সভা করবেন।
মঙ্গলবার কালিরহাটে গিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গতবার আলুর দাম না পেয়ে আত্মঘাতী রবিন বর্মনের কথা তুলে ধরেন। বাম আমলে পশ্চিমবঙ্গে কৃষকরা এ ভাবে কোনও দিন আত্মহত্যার পথ বেছে নেন নি বলেও দাবি করেন। নির্বাচনের প্রচারে তাঁদের দলের সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ধূপগুড়িতেও এ ধরনের হুমকির ঘটনা ঘটছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। বর্তমান রাজ্য সরকার এক সময় বেকারদের কথা বললেও তাদের আমলে দু বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে বলে বৃন্দাদেবী জানান। |
ধূপগুড়ির কালীরহাটে সভায় বৃন্দা কারাট। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে সিপিএম-এর পলিটব্যুরোর সদস্যা বৃন্দা কারাটের অভিযোগ, “সরকার পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক তা চায় না। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তারা বার বার সংঘাতে গিয়েছে। আগে কমিশনকে ধমকেছে। এখন তারা তো হাইকোর্টের রায়ও মানতে চাইছে না। ডাণ্ডা ও গুণ্ডা নিয়ে রাজ্য চালাতে চায় এই সরকার।” তাঁর দাবি, “আমরা সব সময় নির্বাচন চাই।”
কামদুনির ঘটনা নিয়ে বৃন্দার অভিযোগ, “এখন পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতন হলেই সরকার তা কোনও সময় মেনে নিতে চায়নি। এতে অপরাধীরা আসকারা পাচ্ছে। কামদুনিতে কয়েকজন মহিলা তার সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে তাদের রীতিমত হুমকি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব ক্ষেত্রে তিনি সিপিএম-এর ভুত দেখছেন। নারী নির্যাতনের মত সমস্যা রুখতে রাজনীতি না দেখে সর্বদল নিয়ে অপরাধ বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল। এটা কোনও দলের বিষয় নয়। এটি একটি সামাজিক বিষয় ত্রিপুরার সরকার ইতিমধ্যে নারী নির্যাতন বন্ধ করতে এমনই সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছে এই রাজ্য সরকার তা করছে না।” |