বাঁধ ভেঙে কলি ও তাতাসি এক সঙ্গে মিশে যাওয়ায় ভিটে মাটি খুইয়ে চাষি এখন দিনমজুরে পরিণত হয়েছেন। ফালাকাটা ব্লকের ধনীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শিসাবাড়ি-সরুগাঁও গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কলি ও তাতাসির গ্রাসে কয়োকশো বিঘা জমি চলে গিয়েছে। ২৫ পরিবার বাঁধের পাশে ঘর তৈরি করে আছেন। রাজ্যের সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই নদীর বাঁধের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। বাঁধ মেরামতির কাজের জন্য ১২ লক্ষ টাকার বরাদ্দ করেছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ায় কাজ করা সম্ভব নয়। নির্বাচন পর্ব মিটে গেলে কাজ শুরু করা যাবে আশা করছি।” ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়ক অনিল অধিকারীর কথায়, “পুনরায় বাঁধ দেওয়ার জন্য সেচ দফতরকে বলেছি। আশা করি তারা দ্রুত বাঁধটি তৈরি করবেন।”
বাসিন্দারা জানান, পনেরো বছর ধরে তাতাসি তার গতিপথ পরিবর্তন শুরু করেছে। প্রচুর জমি তলিয়েছে। গ্রামবাসীরা মিলে আন্দোলন করলে টনক নড়ে সেচ দফতরের। ২০০৬-এ দুই নদীকে আলাদা অবস্থানে রাখতে ৩০০ মিটার বাঁধ দেয় সেচ দফতর। পরের বছর ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে দুই নদী এক হয়। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, সে সময় থেকে ফি বছর বর্ষায় দুই নদী গ্রামের বিঘার পর বিঘা জমি যে ভাবে গ্রাস করে চলেছে তা চলতে থাকলে আগামীতে গ্রাম বিলীন হয়ে যাবে। ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি তথা সিপিএম নেতা ক্ষিতীশ রায় বলেছেন, “বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পরে সেচ দফতর ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরকে বার বার আমরা বাঁধের জন্য অর্থ মঞ্জুর করার জন্য আবেদন করেছি। সাড়া মেলেনি।” |