আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের পলাশতলির কংগ্রেস নেতা সূর্যমোহন দেবনাথের খুনের ঘটনার অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের ধরছে না বলে কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ উঠছে। নেতাদের একাংশের অভিযোগ খুনে অভিযুক্তরা গ্রেফতারি এড়াতে সিপিএম ছেড়ে ক্ষমতাসীন তৃণমূলে নাম লিখিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সূর্যমোহন-খুনের ঘটনায় সিপিএমের ২৯ জন নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি প্রফুল্ল রায় বলেন, “পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঘটনার পর দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও পুলিশ মাত্র পাঁচ জনকে ধরা হয়েছে। কয়েক দিন পুলিশ গ্রামে তল্লাসি চালালেও এখন তা বন্ধ।” তাঁর অভিযোগ, “অভিযুক্তরা অনেকেই রাতারাতি ক্ষমতাসীন দলে নাম লিখিয়েছেন। এর জন্যই হয়ত পুলিশ তাঁদের ধরছে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আন্দোলনে নামব।” মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, “খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে ধরা হয়েছে। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ ঠিক নয়। অভিযুক্তদের খোঁজা হচ্ছে।”
১২ জুন রাতে পূর্ব বড়চৌকির এক সিপিএম কর্মীর সপরিবার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ঘটনায় গোলমালের সূত্রপাত। তার জেরেই সূর্যমোহনবাবু খুন হন বলে অভিযোগ। তাঁকে বল্লম এবং ভোজালি দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে সিপিএম কর্মী, সমর্থকদের নামে। এলাকার কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রার্থী সুভাষ দেবনাথ ছাড়াও সুজিত বর্মন, স্বপন বর্মন ও আলম মিঁয়া জখম হন।
প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার বলেন, “সূর্যবাবুর ডাকে পূর্ব বড়চৌকি গ্রামের কুড়িটি পরিবার সিপিএম ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেয়। পরে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। তৃণমূল এবং সিপিএম অভিযুক্তদের আড়াল করছে।”
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম এবং তৃণমূল। সিপিএমের চাপরেরপাড় লোকাল সম্পাদক রূপধন রায় বলেন, “ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির বিষয় নেই। গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনাটি ঘটেছে। আমাদের কর্মী, সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।” তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সহ-সভাপতি জহর মজুমদার বলেন, “কংগ্রেস এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের নাম জুড়ে নোংরা রাজনীতি করছে। খুনের ঘটনায় জড়িতদের কোনও ভাবেই আমাদের দলে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”
|