পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদীর জল বেড়ে নোনা জল ঢুকল সুন্দরবনের বেশ কিছু গ্রামে। বসিরহাট, সন্দেশখালি, হাসনাবাদের নদী-সংলগ্ন হাটবাজার ও বসতি এলাকাও জলে ভেসেছে। হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েতের সর্দারপাড়ায় রায়মঙ্গল নদীর বাঁধ ভেঙে মাধবকাটি ও পাটঘরা গ্রামের ৪০টি পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পূর্ব ঘোষণা মতো, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। এই পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামতির কাজে সমস্যা হচ্ছে বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। সমস্যা হচ্ছে ত্রাণের কাজেও। বসিরহাটের মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “প্রশাসন ও সেচ দফতর থেকে ৫-৬টি জায়গায় নদীবাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। সন্দেশখালি ১ ব্লকের ন্যাজাট ২ পঞ্চায়েত এলাকায় বাঁধ ভেঙে জল ঢোকায় ৩৫টি পরিবারকে পলিথিন দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে।”
মহকুমা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়েছিল। ভরা কোটালে এমনিতেই নদীর জল বেড়েছিল। ঝড়-বৃষ্টিতে পরিস্থিতি ঘোরাল আকার নেয়। কোথাও কোথাও বাঁধ ভাঙে। সর্দারপাড়ায় রায়মঙ্গলের প্রায় ৫০ ফুট বাঁধ ভেঙেছে। যার জেরে মাধবকাটি ও পাটঘেরা গ্রামে জল ঢোকে। কয়েকটি পুকুরের মাছ ভেসে গিয়েছে নোনা জলের তোড়ে। রাতে আরও জল বাড়ার আশঙ্কা থাকায় বেশ কিছু পরিবার গ্রামের পাকা রাস্তার উপরে আশ্রয় নিয়েছেন। হাসনাবাদের ভবাণীপুর ২ পঞ্চায়েতের পাথরচাপা গ্রামে ডাঁসা নদীর বাঁধ ভেঙেও গ্রামে নোনা জল ঢুকেছে। ওই এলাকায় বেশ কিছু মেছোভেড়ি ভেসে গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। ভবাণীপুর ১ পঞ্চায়েতের বৈদ্যবাটি গ্রামে নদীবাঁধ ভেঙেছে। বসিরহাটের বালিঘাট এলাকাতেও ইছামতী-সংলগ্ন দাসপাড়ায় কিছু বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবুবক্কর গাজি বলেন, “দুর্গতদের সাহায্য ও বাঁধ মেরামতি খুবই জরুরি। বিডিও দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” হাসনাবাদের বিডিও শ্যামলাল হালদার বলেন, “ভাঙনের জায়গা মেরামতির চেষ্টা চলছে।”
|
ধর্ষণের চেষ্টা, ধৃত যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানার আঠারোবাঁকির গাইনপাড়ার ঘটনা। সোমবার রাতে ওই গ্রাম থেকেই আলমগীর নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার রাতে আলমগীর ওই ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ছাত্রীটির চিৎকারে পাশের ঘর থেকে ছুটে আসেন তার বাবা। ওই যুবক তখন পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধরে ফেলেন তিনি। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে মারধর করে। ঘটনা শুনে ছুটে আসে আলমগীরের পরিবারও। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে ধাক্কাধাক্কিও শুরু হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে আলমগীরকে উদ্ধার করে। সোমবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাতে আলমগীরকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে, আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে আলমগীরের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই ছাত্রীর বাবাকে গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |